সোমবার, ১২ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা
হেফাজতে ছাত্রের মৃত্যু

১০ দিন পর চার পুলিশসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অপহরণ মামলায় গ্রেফতার হয়ে পুলিশ হেফাজতে কলেজছাত্র রিপন চন্দ্র দাস (১৭) মারা যাওয়ার ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানার চার পুলিশ ও এক ইউপি সদস্যসহ ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

ঘটনার ১০ দিন পর গতকাল দুপুরে রিপন চন্দ্রের বাবা বাবলু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (পলাশবাড়ী) এ মামলা দায়ের করেছেন। কোর্ট ইন্সপেক্টর জামাল উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান মামলার আসামিরা হলেন- সুন্দরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রাজু আহম্মেদ, পুলিশ কনস্টেবল শাহানুর আলম, মোস্তাফিজার রহমান, নার্গিস বেগম, ইউপি সদস্য মোন্তাজ উদ্দিন, সুরেশ চন্দ্র, তার মেয়ে চম্পা রানী, আলম মিয়া, অমল চন্দ্র ও রতন চন্দ্র। বিচারক মো. জয়নুল আবেদীন মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, সুন্দরগঞ্জের হাতিয়া গ্রামের বাবলু চন্দ্র দাসের ছেলে রিপনের সঙ্গে প্রতিবেশী সুরেশ চন্দ্র দাসের মেয়ে চম্পার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুজনে গত ২৯ মে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বগুড়ার কাহালুতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ে করে। এ ঘটনায় চম্পার বাবা সুরেশ চন্দ্র বাদী হয়ে অপহরণের অভিযোগে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরে সুন্দরগঞ্জ থানার এসআই রাজু আহমেদের নেতৃত্বে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোন্তাজ উদ্দিনসহ পুলিশ গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১ জুন দুপুরে কাহালুর আত্মীয়ের বাসা থেকে চম্পাকে উদ্ধার ও রিপনকে গ্রেফতার করে। এরপর তাদের মাইক্রোবাসে করে কাহালু থেকে সুন্দরগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হচ্ছিল। পথে পুলিশ ইউপি সদস্য মোন্তাজ উদ্দিনের পরোক্ষ সহযোগিতায় রিপনকে মাইক্রোবাসে গলাটিপে হত্যা করে। এরপর পুলিশ ট্রাকচাপায় রিপনের মৃত্যু হয়েছে বলে অপপ্রচার চালায়।

সর্বশেষ খবর