মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

যশোর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২

প্রতিদিন ডেস্ক

কথিত বন্দুকযুদ্ধে গতকাল দুই যুবক নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে যশোরের বাঘারপাড়ায় পুলিশের হাতে আটক এক যুবকও রয়েছেন। অন্যজন নিহত হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। পুলিশ দাবি করেছে, এদের একজন মাদক ব্যবসায়ী ও আরেকজন ডাকাত।

যশোর থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানিয়েছেন, গতকাল গভীররাতে পুলিশ বাঘারপাড়া উপজেলার আয়াপুর গ্রাম থেকে সাব্বির হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে। তিনি বাঘারপাড়া উপজেলার খলিলপুর গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে। এর আগে রবিবার বাঘারপাড়া থানা পুলিশ এক অভিযান চালিয়ে সাব্বির হোসেনসহ তিনজনকে অস্ত্র ও মাদকসহ আটক করে। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হাতকড়া পরা অবস্থায় সাব্বির কৌশলে পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। বাঘারপাড়া থানার এসআই নিয়ামুল বলেন, মধ্যরাতের পর যশোর-নড়াইল সড়কের আয়াপুরে জনৈক নজরুল ইসলামের বাড়ির কাছে দুই দল মাদক বিক্রেতার মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক বিক্রেতারা পালিয়ে যায়। পরে ওই এলাকায় তল্লাশির সময় সাব্বিরকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার ঘাড়ের বাম পাশে মাথার নিচে এক রাউন্ড গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১০৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।

 ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি জানান, সরাইল উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সেলিম মিয়া (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। পুলিশ বলছে, নিহত যুবক ডাকাত দলের সদস্য। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় আটটি মামলা রয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের সময় সরাইল থানা পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল গভীর রাতে উপজেলার বেড়তলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সেলিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মালিহাতা গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি পাইপগান, আট রাউন্ড খালি কার্তুজ, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ, একটি গ্রিল কাটার ও চারটি বর্শা উদ্ধার করা হয়েছে। সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রূপক কুমার সাহা জানান, গভীর রাতে বেড়তলা গ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় গ্রামবাসীরা সেলিমকে ধরে পুলিশে খবর দেয়। পরে একদল পুলিশ বেড়তলা গ্রামে গিয়ে সেলিমকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ৯ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। সেলিমের সহযোগীরা কমপক্ষে ৩০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় সেলিম নিহত হয়। ওই সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন। ওসি জানান, নিহত সেলিমের বিরুদ্ধে ডাকাতি, চুরি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, সরাইল, আশুগঞ্জ ও নাসিরনগর থানায় আটটি মামলা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর