রবিবার, ২৫ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

ভাঙ্গায় পুঁই ও ঢেঁড়স চাষে বাবা-ছেলের চমক

অজয় দাস, ভাঙ্গা (ফরিদপুর)

ভাঙ্গায় পুঁই ও ঢেঁড়স চাষে বাবা-ছেলের চমক

কুমার নদের তীরবর্তী ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের চৌকিঘাটা গ্রাম। পশ্চিম ও উত্তরে জনবসতি, পূর্বে ফসলি জমি। এ মাঠে যেন সোনা ফলে! সত্যিই এ মাটিতে সোনা ফলাচ্ছেন কৃষক আয়নাল শেখ, আক্কাস শেখ, মজিবর শরীফসহ প্রায় ২০ জন। তবে এর মধ্যে আয়নাল শেখ মূল। তার কলেজপড়ুয়া ছেলে রাসেল শেখকে নিয়ে তিনি এ বছর পুঁইশাক ও ঢেঁড়শ চাষ করে চমক সৃষ্টি করেছেন ।   সরেজমিন দেখা গেছে, আয়নাল শেখের আছে ৩০ শতাংশের জমি। এর ১৫ শতাংশ উঁচু, ১৫ শতাংশ নিচু। উঁচু ১৫ শতাংশে ঢেঁড়শ, আর ১৫ শতাংশে পুঁইশাক চাষ করেছেন। এ বছর ভাঙ্গা কেএম কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত ছেলে রাসেল শেখ পুঁই-ঢেঁড়শ চাষে পিতাকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছেন। পুঁই খেত এখনো সতেজ। গাছে প্রচুর ঢেঁড়শ ধরে আছে। রাসেল শেখ জানান, গত জানুয়ারিতে তারা খেতে বীজ বুনেছেন। ফলন অনেক ভালো হয়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে ঢেঁড়শ ও ফেব্রুয়ারির শেষদিক থেকে পুঁইশাক বিক্রি শুরু করেছেন। এ পর্যন্ত এ জমি থেকে ১ লাখ টাকার ঢেঁড়শ ও ৮০ হাজার টাকার পুঁইশাক বিক্রি করেছেন তারা। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে মাত্র ১৫ হাজার টাকার মতো। ঢেঁড়শ ও পুঁইশাক তারা ভাঙ্গা উপজেলার চৌকিঘাটা, ঘারুয়া, ভাঙ্গা বাজার, মালিগ্রাম ও পুলিয়া হাটে বিক্রি করেন। ফেব্রুয়ারি, মার্চে ৬০ টাকা কেজি ঢেঁড়শ ও ৫০ টাকা কেজি পুঁইশাক বিক্রি করেছেন। ঢেঁড়শ ও পুঁইশাক খেত এখনো সতেজ। বন্যা না হলে আরও কয়েক মাস (শীতের পূর্ব পর্যন্ত) এ খেত থেকে সবজি বিক্রি করতে পারবেন তারা।  চৌকিঘাটা এলাকায় দায়িত্বরত ভাঙ্গা উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খান হাবিবুর রহমান বলেন, আয়নাল শেখ একজন ভালো চাষী। তার খেতে ঢেঁড়শ ও পুঁইশাক এবার অনেক ভালো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর