গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারা কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে নিয়ে একটি হেলিকপ্টার গতকাল হঠাৎ অবতরণ করে। কারারক্ষীরা এ ঘটনায় হেলিকপ্টার আরোহী মালয়েশিয়ার এক নারী নাগরিক, তার স্বামী বাংলাদেশি বশোদ্ভূত মালয়েশিয়ার নাগরিক এবং তাদের তিন সন্তানকে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন মালয়েশীয় হাসনা আরা বিনতি, তার স্বামী কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় জন্মগ্রহণকারী মালয়েশিয়ার নাগরিক বিল্লাল হোসেন (৫০), তাদের দুই ও আট বছরের দুই মেয়ে এবং পাঁচ বছরের এক ছেলে। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২-এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক জানান, ‘কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে আজ (গতকাল) বেলা ১১টার দিকে আকাশে চক্কর দিয়ে একটি বেসরকারি হেলিকপ্টার মালয়েশিয়ার কয়েকজন নাগরিক নিয়ে কারা চত্বর এলাকায় আরপি গেটের পাশে কারা স্কুল মাঠে অবতরণ করে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে হেলিকপ্টারটি দ্রুত উড়ে চলে যায়। পরে কারারক্ষীরা হেলিকপ্টারের আরোহী মালেয়েশীয় দম্পতি ও তাদের তিন শিশু সন্তানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুর দেড়টার দিকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’ জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানান, কুমিল্লার হোমনায় জন্মগ্রহণ করেন বিল্লাল হোসেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন। সেখানে নাগরিকত্ব পাওয়ার পর সে দেশের হাসনা আরা বিনতিকে বিয়ে করেন। তাদের তিন সন্তান। সম্প্রতি সপরিবারে বাংলাদেশে বেড়াতে আসেন বিল্লাল। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে গাজীপুরের কোনাবাড়ীর আমবাগ কুদ্দুসনগরে এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। তারা ভাড়া করা একটি হেলিকপ্টারযোগে গতকাল বেলা ১১টার দিকে ঢাকা থেকে রওনা হন। কিন্তু পাইলট ভুল করে কোনাবাড়ী কুদ্দুসনগর স্কুলের পরিবর্তে কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে অবতরণ করে এবং তাদের নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
কড়া পাহারার মধ্যে কীভাবে হেলিকপ্টারটি কারা ক্যাম্পাসে নেমে আবার বিনা বাধায় এলাকা ত্যাগ করতে পেরেছে সে বিষয়ে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
