আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের নবমী পালিত হয়েছে বসুন্ধরা পূজামণ্ডপে। গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, ‘যারা ধর্মান্ধ, জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী তারাই সংখ্যালঘু। এসব সংখ্যালঘু এবং অসুরকে বিনাশ ও নির্মূল করা হবে।’
পরিদর্শনে এসে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর সবাইকে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানান। আরও বক্তব্য দেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা কামাল, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমান, শাহাব উদ্দিন, যুগ্ম-কমিশনার আনোয়ার হোসেন, গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা।ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া আরও বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ। দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধি করার পাশাপাশি দুর্গোৎসবের মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতার জন্য আমি বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই। ঢাকার বড় কয়েকটি মণ্ডপের মধ্যে বসুন্ধরার পূজামণ্ডপ অন্যতম। এ মণ্ডপ স্থাপন করে অত্যন্ত চমৎকার পূজার আয়োজন করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। দুর্গোৎসব এখন জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এ দুর্গোৎসবে আসছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি মণ্ডপে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। শুধু মণ্ডপ নয়, দেশের সব অনুষ্ঠানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকে।’
সন্ধ্যার পরই পূজামণ্ডপে ধর্মবর্ণনির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। মণ্ডপের বাইরে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে উত্সুকদের উপচে পড়া ভিড় ছিল।