শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ধুনটে ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকে ফসলের চিকিৎসা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

ধুনটের কালেরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে গত বৃহস্পতিবার ভ্রাম্যমাণ ডিজিটাল ফসল ক্লিনিক পরিচালনা করেছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। এই ক্লিনিকে ধান, মরিচ, সরিষা, শাকসবজি, কলা ও পেঁপেসহ বিভিন্ন ফসলের রোগ বালাই প্রতিরোধের চিকিৎসা।

বিশেষ করে ধানের পাতা মোড়ানো রোগ, মরিচের মোজাইক ভাইরাস, গোড়াপচা রোগ ও মাজরা পোকা প্রতিরোধ এবং কারেন্ট পোকা মোকাবিলায় কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চাষাবাদ ও ফসলের পরিচর্যায় কৃষকের করণীয় সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদরা দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। তাছাড়া ডিজিটাল সার সুপারিশ,  কৃষি কল সেন্টারে সেবা পাওয়ার পদ্ধতি এবং ই-কৃষি সম্প্রসারণ সেবা সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করা হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের উদ্যোগে ২০১৬ সাল থেকে ধুনট উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ ডিজিটাল ফসল ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ক্লিনিকে নিত্তিপোতা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম এসেছিলেন ধানের পাতামোড়ানো রোগের চিকিৎসা নিতে। দেড় বিঘা জমিতে তিনি ধান চাষ করেছেন। এরমধ্যে ১ বিঘা জমিতে পাতামোড়ানো রোগ দেখা গেছে। এ রোগের ফলে পোকা পাতায় বসে গাছের রস চুষে নেয়। এতে ফলন বিপর্যয় ঘটে। ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকে ফসলের চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। রফিকুল ইসলাম বলেন, ফসলের সমস্যা হলে ব্যবসায়ীর পরামর্শ বা নিজেরা ইচ্ছেমতো ওষুধ নিয়ে জমিতে দিয়ে থাকি। এতে কাজ না হয়ে উল্টো অর্থ ব্যয় হয়। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শ ভালো লেগেছে। সঠিকভাবে কীটনাশক ব্যবহারের জন্য তাদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ক্লিনিকে কৃষকদের পরামর্শ দেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, সুকান্ত কুমার মদক, শাহীনুর ইসলাম ও বিমল চন্দ । দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকে প্রায় দুশতাধিক কৃষক ফসলের চিকিৎসা ও অন্য সেবা গ্রহণ করে। উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ফসলের খেতে রোগ বালাই আক্রমণ করলে কৃষক হাতুড়ে পদ্ধতি অবলম্বন করেন। অসচেতনতার জন্য অসংখ্য কৃষক কৃষিবিদদের পরামর্শ গ্রহণ করেন না। সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই ভ্রাম্যমাণ ফসলের ক্লিনিক করা হলো। এতে ফসলের চিকিৎসা, অন্যদিকে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ গ্রহণের বিষয়ে সচেতন করা সম্ভব হয়েছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর