২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮। খেলার ছলে চিঠি লিখে বোতলে পুরে সমুদ্রে ভাসিয়েছিল আট বছরের ছোট্ট মেয়েটি। সেই চিঠিই ফেরত এলো ২৯ বছর পরে। সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে। সেই ছোট্ট বয়সের অপরিণত হস্তাক্ষরে লেখা চিঠির বয়ান পড়ে চমকে উঠল মেয়েটি। এ যে তারই লেখা চিঠি। সে-ই তো এটা ভাসিয়ে দিয়েছিল সাগরের বুকে!
আট বছরের ছোট্ট মিরান্ডা চাভেজ এখন ৩৭ বছরের যুবতী। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া হাতড়ে তার খোঁজ পেয়েছেন লিন্ডা হাম্ফ্রি এবং তার স্বামী ডেভিড। হাম্ফ্রি দম্পতি জানিয়েছেন, চিঠির নিচে লেখা নাম-ঠিকানা দেখে লেখিকাকে শনাক্ত করেন তারা। চিঠি পড়ে জানা যায়, আজ থেকে ২৯ বছর আগে দক্ষিণ ক্যারোলিনার এডিস্টো সৈকতের ধারে বেড়াতে গিয়েছিলেন মিরান্ডা। সেখানেই এই চিঠি লিখে বোতলে ভরে সমুদ্রে ভাসিয়ে দেন তিনি। ২৯ বছর পরে সেই চিঠি উদ্ধার হয় জর্জিয়ার স্যাপেলো দ্বীপ থেকে। বোতলসমেত চিঠি খুঁজে পান হাম্ফ্রি দম্পতি। ডেভিড জানিয়েছেন, চিঠির নাম ও ঠিকানা দেখে তারা চিঠির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। যেহেতু চিঠিতে লেখা ঠিকানা এতদিনে বদলে ফেলেছিলেন মিরান্ডা, তাই সোশ্যাল মিডিয়ার শরণাপন্ন হন হাম্ফ্রি দম্পতি। ফেসবুকে নিজের চিঠি দেখে উচ্ছ্বসিত মিরান্ডা। বার বার হাম্ফ্রি দম্পতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। তার কথায়, ‘‘খুব ছোট ছোট বিষয়ও জীবনে ছাপ রেখে যায়। আমরা যতই এগিয়ে চলি না কেন, কিছু ছোট ঘটনা ফের শৈশবের স্মৃতিকে তাজা করে দেয়। এ ঘটনা আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্তগুলোর একটি।’’ আগামী সপ্তাহেই লিন্ডা ও ডেভিডের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন মিরান্ডা। নতুন বন্ধুদের সঙ্গে তার শৈশবের স্মৃতি ভাগ করে নিতে চান তিনি। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
