রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

কমিউনিটি পুলিশ মহল্লায় মাতব্বরের কাজ করছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, গ্রাম-পাড়া-মহল্লায় স্থানীয় মাতব্বররা যে সামাজিক কর্মকাণ্ড করতেন সেটাই এখন কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যরা করছেন। ১০ বছর আগের পুলিশ আর এখনকার পুলিশ এক নয়। এখন কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে ছোট ছোট বিরোধ উেসই শেষ করে দেওয়া হলে থানায় আর মামলা করতে হবে না।

গতকাল সকালে ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) আয়োজিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘জঙ্গি-মাদক প্রতিকারে জনতা পুলিশ এক কাতারে’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) এ কে এম শহীদুল হক। সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে পুলিশের আট বিভাগ থেকে আটজন সদস্যকে ও বিট পুলিশিংয়ের কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএমপি সদর দফতরের সামনে থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শোভাযাত্রা বের করেন। এটি কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এলাকায় যে সামাজিক ব্যবস্থা ছিল, তা কমে যাওয়ায় সন্ত্রাস বাড়ছে। সেজন্য আইজিপি কমিউনিটি পুলিশিং জোরদার ও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কমিউনিটি পুলিশ জোরদার হলে সবাইকে নিরাপত্তা দেওয়া যাবে। আইজিপি শহীদুল হক বলেন, জনগণের সঙ্গে থানা-পুলিশের দূরত্ব কমলেই কমিউনিটি পুলিশিং সফল হবে। এতে জনগণের সহযোগিতা পাওয়া যাবে। নাগরিক দায়িত্ব জাগিয়ে তোলা ও সংগঠিত করাই এর লক্ষ্য। পুলিশের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে ভয় দূর হবে। পুলিশ ও কমিউনিটি বসে সমস্যা চিহ্নিত করবে এবং সমাধান করবে। সে ক্ষেত্রে ভালো লোক দিয়ে কমিউনিটি পুলিশের কমিউনিটি গঠন করতে হবে এবং ভালো লোক দিয়ে থানার ওসিদের এই সমস্যার মূল্যায়ন করতে হবে। ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, অপসংস্কৃতি নিবৃত্ত করাই কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কাজ। এ দুই শক্তি একত্রিত হলে এর সামনে সব অপশক্তিই তুচ্ছ। কমিউনিটি পুলিশ সক্রিয় হলে মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাস, ইভ টিজিং ও বাল্যবিয়ে থাকবে না। এদিকে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে গতকাল সারা দেশে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর