শিরোনাম
রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
সিটি নির্বাচন

রংপুরে নিরাপত্তার ছক চূড়ান্ত থাকবে স্ট্রাইকিং ফোর্স

গোলাম রাব্বানী

রংপুরে নিরাপত্তার ছক চূড়ান্ত থাকবে স্ট্রাইকিং ফোর্স

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসি সূত্র জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ছক চূড়ান্ত করতে আজ নির্বাচন কমিশন (ইসি) বৈঠকে বসছে। ইসি সূত্র জানিয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে আজ আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাসহ রিটার্নিং অফিসার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন-পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ইসি সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ছক চূড়ান্ত করবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রংপুরে দলীয় ভিত্তিক প্রথম সিটি ভোট হওয়ায় এখানকার বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে বেশি হারে পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসার, র?্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হতে পারে। আজকের আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে এ সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করতে             যাচ্ছে ইসি সচিবালয়। প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, এ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ২২ জন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ২৪ জন নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন রাখা যেতে পারে। সর্বশেষ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ভোটেও একই নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত ছিল। এ সিটি করপোরেশনে বর্তমানে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৯ এবং নারী ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৬২ জন। সাধারণ ওয়ার্ড রয়েছে ৩৩টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১১টি। ভোটকেন্দ্র ১৯৩টি। পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স এবং প্রতিটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। র?্যাবের ৩৩টি টিম, বিজিবির ১৭ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হবে। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটের দুই দিন আগে, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে একদিন মিলিয়ে চার দিন মাঠে থাকবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে র?্যাব-পুলিশের টিম ও আরও তিন প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে সংরক্ষিত রাখার সুপারিশও করেছে ইসি সচিবালয়। তফসিল ঘোষণার পর থেকে আচরণবিধি তদারকির জন্য ছয়জন নির্বাহী হাকিম মাঠে রয়েছেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষে প্রচারণা শুরু হলেই প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে ৩৩ জন নির্বাহী হাকিম মাঠে থাকবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামার পর তাদের নেতৃত্বেও থাকবেন নির্বাহী হাকিম। এ সময় ১১ জন বিচারিক হাকিমও নিয়োগ করবে ইসি। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো রংপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হয়। পাঁচ বছর আগে ভোটার ছিল ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪২ জন। সেই নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ ছিল না। নির্বাচনে জিতে রংপুর সিটির প্রথম মেয়র হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। এবার দলীয় প্রতীকে রংপুরে প্রধান দলগুলোও অংশ নিচ্ছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রংপুরের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২২ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩ ডিসেম্বর। ৪ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার। আর ভোট হবে ২১ ডিসেম্বর।

সর্বশেষ খবর