সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

মা ও ছেলেকে গলা কেটে হত্যা

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোর সদরে দস্তানাবাদ ফকিরপাড়া গ্রামের আলম সর্দার (২৮) তার মা বিলকিস বেগম (৪২) এবং পঞ্চম শ্রণিতে পড়ুয়া নিজের ছেলে আলিফ সর্দারকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেছেন। এ সময় তিনি তার বাবা শাহাদৎ সর্দারকেও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম করেছেন। গতকাল রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে এলাকাবাসী আলমকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাত ৮টার দিকে ফকিরপাড়া গ্রামের শাহাদৎ সর্দারের বাড়িতে হৈ চৈ শুনে গ্রামবাসী  সেখানে যান। এ সময় তারা আলম সর্দারের ছেলে পিএসসি সমাপনী পরীক্ষার্থী আলিফ সর্দার ও তার দাদি বিলকিস বেগমকে গলাকাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। আরও জানা গেছে, এই হত্যাকাণ্ডের সময় আলমের বাবা সাহাদৎ সর্দার বাড়ির বাইরে ছিলেন। খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে ঢোকা মাত্র ছেলে আলম তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করে। গ্রামের লোকজন জানান, আলম সর্দার ও তার বাবার বিরোধের জের ধরে আলম তার স্ত্রীকে তালাক দেন। এ নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে আদালতে মামলাও চলছিল। সম্প্রতি বাবার জমিতে আলম নতুন বাড়ি তৈরি করলে সেই জমিও অন্য জায়গায় বাবা বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। সম্প্রতি আলম বাবা-মাকে জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। এর জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। তারা জানান, ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় গ্রামবাসী শাহাদৎ সর্দারকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠান। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গ্রামবাসী তাত্ক্ষণিক ঘাতক আলম সর্দারকে আটক করে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে তাকে হেফাজতে নেয়। নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকদার মশিউর রহমান বলেন, অভিযুক্ত খুনিকে গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত বলেন, নেশাগ্রস্ত শাহ আলম ইয়াবায় আসক্ত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

সর্বশেষ খবর