ঢাকায় আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের (এটিবি) এক সদস্যকে গ্রেফতারের পর পুলিশ জানিয়েছে, এই যুবক আড়াই বছর আগে লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে ‘সরাসরি জড়িত’ ছিলেন। গ্রেফতার যুবকের নাম মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন। জঙ্গি সংগঠনটিতে তিনি ‘শাহরিয়ার’ নামে পরিচিত বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান।
ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, তুরাগ থানা এলাকার বাউনিয়া থেকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগ মোজাম্মেলকে গ্রেফতার করে।
শনিবার বিকালে গ্রেফতারের পর রবিবার ঢাকার আদালতে নিলে মোজাম্মেল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মোজাম্মেলকে আদালতে নিয়ে যান অভিজিৎ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন এটিবির প্রধান নেতা জিয়াউল হকের নির্দেশে এবং পরিচালনায় হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়ার স্বীকারোক্তি মোজাম্মেল দিয়েছেন বলে ডিএমপির মুখপাত্র জানান। অভিজিৎ রায়ের হত্যাকারীদের ভিডিও ফুটেজে প্রকাশিত আসামিদের মধ্যে সে অন্যতম। মোজাম্মেলের আগে গত ৫ নভেম্বর পুলিশ মোহাম্মদপুর থেকে আবু সিদ্দিক সোহেল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তিনিও হত্যায় সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে নিয়ে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে জঙ্গি কায়দায় হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী অভিজিৎ।পুলিশ কমিশনার মাসুদুর বলেন, মোজাম্মেল জঙ্গি সংগঠনটির ‘ইন্টেলিজেন্স উইং এবং মিডিয়া উইং’ এর প্রধান। এ ছাড়া সে জঙ্গিদের সঙ্গে কথোপকথনে ফেসবুক পেইজ, বালাকাট মিডিয়া, আল হিকমা মিডিয়া, অনুসন্ধিত্সু মিডিয়া পরিচালনার দায়িত্বে ছিল।
তিনি বলেন, মোজাম্মেল ব্লগার নিলয় ও প্রকাশক দীপন এবং জুলহাস-তনয় হত্যাকাণ্ডেও অংশ নিয়েছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
