বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

মহাসড়কে ৬ লেন ফ্লাইওভার

সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ছয় মাস আগেই শেষ নির্মাণ কাজ

জমির বেগ, ফেনী

মহাসড়কে ৬ লেন ফ্লাইওভার

দেশের লাইফ লাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে নবনির্মিত ছয় লেন ফ্লাইওভারের উদ্বোধন হচ্ছে আগামী ৪ জানুয়ারি। দেশের ইতিহাসে মহিপালের এই ফ্লাইওভারটিই প্রথম ছয় লেন বিশিষ্ট ফ্লাইওভার। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, ৪ জানুয়ারি মহিপালে নির্মিত দেশের প্রথম ছয় লেন ফ্লাইওভারটি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর প্রথমে এই ফ্লাইওভারটি চার লেনের হওয়ার কথা ছিল। সেই হিসেবে দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার পরে ভবিষ্যতের চিন্তা মাথায় নিয়ে ফ্লাইওভারটি চার লেনের পরিবর্তে ছয় লেন করার সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ থাকলেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এর নির্মাণ কাজ ছয় মাস আগেই শেষ হয়েছে। ফ্লাইওভারটির নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ১৫৮ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হলেও পরবর্তীতে তা বেড়ে ১৮১ কোটি ৪৮ লাখ টাকায় বর্ধিত করা হয়। মূল ফ্লাইওভারটির দৈর্ঘ্য ৬৬০ মিটার। প্রস্থ ২৪ দশমিক ৬২ মিটার। সার্ভিস রোডের দৈর্ঘ্য ১৩৭০ মিটার, প্রস্থ ৭ দশমিক ৫ মিটার। এপ্রোচ রোডের দৈর্ঘ্য ১১৬০ মিটার। সাইড ড্রেনের দৈর্ঘ্য ২২১০ মিটার। ফুটপাথের দৈর্ঘ্য ২২১০ মিটার। সর্বমোট পিসি গার্ডার ১৩২টি, স্টেন ১১টি ও পিয়ার ২০টি। ফ্লাইওভারটিতে ১১টি স্পেনে র‍্যাম্প রয়েছে ২৯০ মিটার। মূল বিশ্বরোড থেকে একটি সড়ক ফ্লাইওভারে যাবে, অপরটি সাইড দিয়ে এসে ফেনী শহর ও ফেনী-নোয়াখালী সড়কে যাবে। যাকে লিংক রোড বলা হয়। এই ফ্লাইওভারের আলাদা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ওপরে ছয় লেন ও নিচে চার লেন। সে হিসেবে মহাসড়কের মহিপালের এই অংশটি হবে ১০ লেনের। ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ১ এপ্রিল ২০১৫।

ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্ক অর্গানাইজেশনের আওতায় ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়ন। তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে মেসার্স আবদুল মোমেন লিমিটেড। এদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মহাসড়কে সবগুলো ফ্লাইওভার চার লেন করা হয়েছে। ফেনীর মহিপালের চৌরাস্তা দিয়ে ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যান চলাচল করায় এখানে নিত্য যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় ফ্লাইওভারটি ছয় লেনের হয়েছে। ফ্লাইওভারটির ফলে এখানে যানজট অনেকটা নিরসন হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর