বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গায় বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন

 

 

 

মশারি দিয়ে ঘিরে (নেট হাউসে) বিষমুক্ত সবজি চাষ করে কৃষকরা পোকার হাত থেকে রক্ষা করছেন ফসল। নেট হাউস থাকায় ক্ষতিকর বিষ দিতে হচ্ছে না। বিষের খরচ বেঁচে যাচ্ছে। উৎপাদনও হচ্ছে ভালো। কৃষক লাভবান হচ্ছেন। এসব কথা বলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুর। গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে আয়োজিত মাঠ দিবসে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ আয়োজনে ৩০ জন কৃষাণী ও ১০ জন কৃষক অংশ নেন। এ দিন কৃষক-কৃষাণীদের পলিনেট দিয়ে ঘিরে ফসল উৎপাদন এবং পলিনেট ছাড়া ফসল উৎপাদনের পার্থক্য দেখানো হয়। কৃষক-কৃষাণীরা বলেন, পলিনেটে থাকা পাতাকপি তরতাজা, সতেজ ও বিষমুক্ত। পলিনেটের বাইরের পাতাকপি অতটা তরতাজা নয়, বিষমুক্তও নয়।

আয়োজকরা জানান, এখন চুয়াডাঙ্গা জেলার মাঠে মাঠে শীতের সবজি। বিষমুক্ত ও তরতাজা সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যে পলিনেট ব্যবহারের সুবিধা হাতে-কলমে দেখানোর জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কৃষক-কৃষাণীদের হাতে লিফলেট বিতরণ করা হয়। বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি উৎপাদনের কৌশল দেখানো হয়। মাঠে হাতে-কলমে কাজ শেষে আলোচনা সভায় কৃষক-কৃষাণীরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। মুক্তা খাতুন বলেন, পলিনেট ব্যবহারের উপকারিতা আমরা বুঝতে পেরেছি। পলিনেট ব্যবহার করা না করার পার্থক্য মাঠে গিয়ে নিজেরা দেখে বুঝেছি। আমরা জেনেছি, সবজি চাষাবাদে পলিনেট ব্যবহার করতে হবে। তাহলেই পাওয়া যাবে বিষমুক্ত সবজি।  ওয়ালমার্ট ফাউন্ডেশনের সবজি উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণ (এভিপিআই) প্রকল্পের আওতায় আন্তর্জাতিক সার উন্নয়ন কেন্দ্র (আইএফডিসি) এ মাঠ দিবসের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের কৃষক নায়েব আলী। প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুর, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক সৈয়দ আফজাল মাহমুদ হোসেন, এমঅ্যান্ডই অফিসার মীর হোসেন খন্দকার, মাঠ সমন্বয়কারী শরিফুল আলম মনি, মীর আবদুল মান্নান, আইএফডিসির ফিল্ড মনিটরিং অফিসার আলমগীর রশিদ ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান।

সর্বশেষ খবর