বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

টানা অনশনে অসুস্থ শতাধিক শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয়করণ দাবিতে রাজধানীর প্রেস ক্লাবের সামনে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের অনশন আন্দোলন কর্মসূচি চলছেই। ফলে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ১৪ দিনের আন্দোলনে গতকাল পর্যন্ত মোট ১২৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে মোট ২৮ জন অসুস্থ হয়ে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

দাবি আদায়ের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট কোনো ঘোষণা বা আশ্বাস না পাওয়ায় তাদের এ অনশন চলবে বলে শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন। ছয়টি শিক্ষক-কর্মচারী সংগঠনের জোট ‘বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরাম’-এর ব্যানারে গত ১০ জানুয়ারি থেকে অবস্থান অনশন পালন করছেন শিক্ষকরা। ১৫ জানুয়ারি তাদের এ আন্দোলন আমরণ অনশনে রূপ নেয়। জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে সারা দেশ হতে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী এতে যোগ দিয়েছেন। একটানা অনশনে এবং প্রচণ্ড শীতে গতকাল ৯ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদের মধ্যে শেরপুরের রেখা আক্তার, বি-বাড়িয়ার আবদুল হাকিমসহ চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ শেষ দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা ধর্মঘট চলবে সারা দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। গত ২৩ জানুয়ারি           এ ধর্মঘট শুরু হয়। এদিকে লিয়াজোঁ ফোরামের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গতকাল দুপুরে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয় করণের দাবিতে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন।

প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী তাদের আশ্বস্ত করে জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় সংসদে আলোচনা করবেন। এ ছাড়া জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গতকালও অনশন পালন করেছেন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গত রবিবার থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনে নেমেছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। প্রায় তিন শতাধিক বেসরকারি প্রাথমিকের শিক্ষক আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মামুনুর রশিদ খোকন বলেন, ধাপে ধাপে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকারি করা হয়েছে। গত ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি স্কুল জাতীয়করণের ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় বাছাই কমিটি প্রায় ১০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের বাইরে রাখে।

পরে আর এগুলো সরকারি করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তারা সরকারের কাছ থেকে কোনো বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। খোকন বলেন, জাতীয়করণের যোগ্য বিদ্যালয়গুলো সরকারি ঘোষণা দিতে হবে। নইলে টানা কর্মসূচি চলবে। শিক্ষকরা বলেন, আমাদের চাকরি আছে কিন্তু বেতন নাই। অবিলম্বে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর