বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা

আরও এক আসামির খালাস দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাঞ্চল্যকর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা দুই মামলায় কারাগারে থাকা আসামি হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়ার খালাস দাবি করেছেন তার আইনজীবী। গতকাল ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে আসামি ইয়াহিয়ার আইনজীবী মাঈনুদ্দিন মিয়া যুক্তি উপস্থাপন শেষ করার পর আগামী ২৯, ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করা হয়। পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে মামলা দুটির বিচার চলছে।

গতকাল আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান, বিশেষ পিপি মো. আবু আবদুল্লাহ ভূঞা, অ্যাডভোকেট আকরাম উদ্দিন শ্যামল, অ্যাডভোকেট ফারহানা রেজা, অ্যাডভোকেট মো. আমিনুর রহমান, অ্যাডভোকেট আবুল হাসনাত প্রমুখ। যুক্তিতর্কে আসামি ইয়াহিয়ার আইনজীবী বলেন, মামলার প্রথম এজাহার ও আওয়ামী লীগ নেতাদের দায়ের করা অভিযোগে আসামি ইয়াহিয়ার নাম ছিল না। কোনো সাক্ষী সরাসরি তার জড়িত থাকার বিষয়টি বলতে পারেননি। তাই আসামি ইয়াহিয়া খালাস পাওয়ার যোগ্য। এদিকে আইনজীবী মাঈনুদ্দিন মিয়ার পর আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আলীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের কথা থাকলেও তিনি আদালতে উপস্থিত না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিচারক। পরবর্তী ধার্য তারিখে নির্ধারিত আসামিরপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত না থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেও জানায় আদালত। এর আগে ১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান ২৫ কার্যদিবস যুক্তি উপস্থাপন করে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামির সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে তার যুক্তি উপস্থাপন সমাপ্ত করেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এই নির্মম হামলায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান। অল্পের জন্য বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এ হামলায় শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন।

২১ আগস্টের ওই নৃশংস হামলায় পৃথক দুটি মামলায় মোট আসামি ৫২ জন। এর মধ্যে তিন আসামি জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদ, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান এবং শরীফ সাইফুল আলম বিপুলের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় এ মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তারেক রহমান, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, মেজর জেনারেল (এলপিআর) এ টি এম আমিন, লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দারসহ ১৮ জন এখনো পলাতক।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর