বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
আটকের পর নির্যাতন

চট্টগ্রামে ছয় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

পুলিশ হেফাজতে এক যুবককে নির্যাতনের অভিযোগে এক পরিদর্শকসহ ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম এবং ফাঁড়িতে দায়িত্বরত কনস্টেবল মাহবুবুর রহমান, ফিরোজ মিয়া, নায়েক হামিদুর রহমান, এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া ও নায়েক আমির। মামলায় চমেক পুলিশ ফাঁড়ি ও পাঁচলাইশ থানায় কর্মরত অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জন পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রাম    মহানগর হাকিম আবু ছালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালতে মামলাটি করা হয়। মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, ভুক্তভোগী রওনকের ভাই ইয়াছিন সাখাওয়াত ভূঁইয়া মামলাটি করেছেন। আদালত পিবিআইকে পরিদর্শক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তিন সদস্যের বোর্ড গঠন করে পরীক্ষার মাধ্যমে রওনকের শরীরে আঘাতের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তদন্ত ও হাসপাতালের প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। অভিযুক্ত চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘রওনক কোনো কারণ ছাড়াই ওই দিন পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তার হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। তারা ওই মামলা থেকে রক্ষা পেতে পুলিশকে বিবাদী করে মামলা করেছে।’ ইয়াছিন সাখাওয়াত ভূঁইয়া তার মামলায় অভিযোগ করেন, ২০ জানুয়ারি রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ জরুরি বিভাগের সামনে কয়েকজন লোকের সঙ্গে সাদা পোশাকে থাকা পুলিশ ফাঁড়ির এক সদস্যের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় জরুরি বিভাগের পাশ দিয়ে বাসায় যাচ্ছিলেন রওনক। গণ্ডগোল দেখে রওনক দ্রুত বাসায় চলে যাওয়ার সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাকে ধরে নির্যাতন করতে থাকেন। পরে পাঁচলাইশ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। তখন রওনককে টেনে-হিঁচড়ে পুলিশ ফাঁড়িতে নেওয়া হয়। এরপর পুলিশ সদস্যরা বুটজুতা দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকেন। এরপর মাটিতে পড়ে গেলে অস্ত্রের বাঁট ও লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। আঘাতের ফলে রওনকের মাথায় পাঁচটি সেলাই করতে হয়েছে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা, ফুলা, জখম, হাড়ভাঙা ও রক্তক্ষরণ হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর