বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

দুই জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত চার

প্রতিদিন ডেস্ক

বরগুনায় র‌্যাব এবং চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন জলদস্যুতা এবং একজন ডাকাতি মামলার আসামি। নিহতরা হলেন বরগুনায় স্বপন প্যাদা ওরফে মিজান উদ্দীন প্যাদা, লিটন খন্দকার, সাগর খান এবং চুয়াডাঙ্গায় ইমান আলী। বরগুনা প্রতিনিধি জানান, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)-৮ এর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সুন্দরবন কেন্দ্রিক জলদস্যু মুন্না বাহিনীর প্রধান স্বপন প্যাদাসহ তিনজন জলদস্যু নিহত হয়েছেন। গতকাল সকালে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বলেশ্বর নদী সংলগ্ন পদ্মা গ্রামের মাঝেরচর নামক এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সাতটি বন্দুকসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে র‌্যাব। নিহতরা হলেন, জলদস্যু মুন্না বাহিনীর প্রধান স্বপন প্যাদা ওরফে মিজান উদ্দীন প্যাদা, লিটন খন্দকার এবং সাগর খান। র‌্যাব-৮ বরিশালের অধিনায়ক উইং কমান্ডার হাসান ইমন আল রাজীব জানান, সুন্দরবনকেন্দ্রিক জলদস্যু দমনের জন্য নিয়মিত অভিযানের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুন্দরবন সংলগ্ন বরগুনার পাথরঘাটার বলেশ্বর নদীর মাঝেরচর নামক স্থানে অভিযান চালানোর সময় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিথি জানান, চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ইমান আলী (৩০) নামের এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। রাত ১টার দিকে জীবননগরের সন্তোষপুর-দেহাটি সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ চারটি বোমা, একটি এলজি শুটারগান, ৫টি চাপাতি ও ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে। নিহত ইমান আলী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের ফকর উদ্দিন ব্যাপারির ছেলে।

জীবননগর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই সাজ্জাদ হোসেন জানান, ডাকাত ইমান আলী ও তার ১০/১২ জন সঙ্গী গভীররাতে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর-দেহাটি সড়কে অবস্থান করছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল গুলিবর্ষণ শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশ ১৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। গুলিবর্ষণ চলাকালে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করা হয় ডাকাত সর্দার ইমান আলীকে। রাতেই তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। হাসপাতালের কর্তব্যরত তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, ইমান আলী ডাকাতদলের সর্দার ছিলেন। সম্প্রতি জীবননগর ও চুয়াডাঙ্গা এলাকায় সংগঠিত অধিকাংশ ডাকাতি ঘটনার সঙ্গে তিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র আইন, বিস্ফোরকদ্রব্য আইন ও ডাকাতি আইনে দায়ের করা তিনটি মামলা আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর