সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

জমজমাট কেনাকাটার মধ্য দিয়ে পর্দা নামল বাণিজ্য মেলার

নিজস্ব প্রতিবেদক

জমজমাট কেনাকাটার মধ্য দিয়ে পর্দা নামল বাণিজ্য মেলার

জমজমাট কেনাকাটার মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে ৩৪ দিনব্যাপী ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ ২০১৮)। সমাপনী দিনে গতকাল মূল্য ছাড় আর বাহারি অফারে কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিলেন ক্রেতারা।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, গত ১ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ মেলার পর্দা নামে গতকাল। মেলার শেষ দিকে ব্যবসায়ীদের অনুরোধে এবার চার দিন সময় বাড়ায় সরকার। মেলায় ১৪ ক্যাটাগরিতে দেশ-বিদেশের ৫২০টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন ছিল। এবারের মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও অংশ নেয় ভারত, পাকিস্তান, চীন, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, নেপাল, হংকং, জাপান, আরব আমিরাত, মরিশাস, ঘানা, মরক্কো এবং ভুটান। অংশগ্রহণকারী দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করে। মেলার মূল্যায়ন করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশের যে উন্নয়ন হচ্ছে মেলা তার প্রমাণ। এবারের বাণিজ্য মেলা সব দিক থেকে সফল। ইতালির মিলানের বিশ্ব বাণিজ্য মেলা থেকে আমাদেরটা ভালো লেগেছে। অনেক বেশি আকর্ষণীয়। অনেক টাকা এবার লাভ হবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি)। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি’র যৌথভাবে আয়োজিত ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ ২০১৮) সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য। মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে পূর্বাচলে সারা বছর বাণিজ্য মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই এমন মেলা হয়। মানুষ এখন শহর থেকে গ্রামে গিয়ে থাকতে চান। কারণ গ্রামের অর্থনীতি চমৎকার। বিশ্বের অনেক দেশ এটা অনুকরণ করতে পারে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব। তিনি রাজনৈতিক বিষয়ে বলেন, একটি জোট নির্বাচনের জন্য ছয়টি শর্ত দিয়েছে। কিন্তু এ শর্ত বাস্তবায়নযোগ্য নয়। কেননা, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। আর সব ক্ষমতা প্রয়োগ করবে নির্বাচন কমিশন। আমাদের মেয়াদ আছে ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। তার আগে নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সময় ঘোষণা করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর