সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী জোগানে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়

প্রতিদিন ডেস্ক

জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী জোগানের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। বিশ্বের শান্তি রক্ষায় তিন দশকে বাংলাদেশের এ অবদান অনন্য হয়ে উঠেছে। ফলে সম্মানের দিক থেকেও জাতিসংঘে বাংলাদেশকে শক্তিশালী দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি ইউনাইটেড নেশন্স নিউজ সেন্টারের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে শান্তি মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের সাফল্য ও সংলগ্নতাসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীরা নানা জাতিগোষ্ঠী থেকে আসা। ভিন্ন সংস্কৃতি আর ভাষার এই রক্ষীদের একমাত্র লক্ষ্য ঝুঁকিপূর্ণ মানবগোষ্ঠীকে রক্ষা করা। সহিংসতা থেকে শান্তির পথে আসা দেশগুলোকে সহযোগিতা করা। জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশ অন্যতম বৃহৎ শান্তিরক্ষী জোগানদাতা দেশ। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০টি পৃথক মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা কাজ করছে। মোট ৭ হাজার ২৪৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মধ্যে সেনা ও পুলিশ সদস্য রয়েছেন। জাতিসংঘ শান্তি মিশনের নীল পতাকা হাতে আর নীল হেলমেট পরে মিশনগুলোতে নানা কাজে নিয়োজিত আছেন এসব শান্তিরক্ষী। নিরাপত্তা প্রদান থেকে শুরু করে সড়ক নির্মাণ, সহিংস দেশগুলোর সরকার এবং জনগণকে সহযোগিতা করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা সুনাম অর্জন করেছেন। হাইতির শান্তি মিশন পুলিশের নারী সদস্য নিয়ে গঠন করা হয়েছিল। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত এ শান্তি মিশন ভূমিকম্প বিধ্বস্ত হাইতির পুনর্গঠন কাজ এবং দেশটির বিরাজমান সহিংসতার মধ্যে সাফল্যের সঙ্গে মিশন শেষ করে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক এলাকায় শান্তি রক্ষার কাজে নিয়োজিত থেকেছেন। সেন্ট্রাল আফ্রিকার দেশগুলো- কঙ্গো, সুদানের দারফুরসহ কঙ্গোর বুনিয়া, ইটুরি প্রদেশে কাজ করেছেন বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা। বিশ্বশান্তির অন্বেষণে বাংলাদেশের ১৩২ জন শান্তিরক্ষী প্রাণ দিয়েছেন। বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের এ আত্মত্যাগ এক গর্বের এবং অহংকারের উপাখ্যান। সহিংস কঙ্গোর প্রান্তিক গ্রামগুলোতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিচরণ, স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টির মূলে কাজ করেছে শান্তি অন্বেষায় চরম পেশাদারিত্ব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর