শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিচ্ছিন্ন সংঘাত বিক্ষোভ গ্রেফতার

বিএনপির প্রতিবাদ আজ ও কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিচ্ছিন্ন সংঘাত বিক্ষোভ গ্রেফতার

গতকাল চট্টগ্রাম নগর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে এক মহিলা কর্মীকে আটক করে পুলিশ (বাঁয়ে), সিলেটে এক ছাত্রদল কর্মীকে পেটাচ্ছে ছাত্রলীগ —বাংলাদেশ প্রতিদিন

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে পুরান ঢাকার বকশীবাজারের বিশেষ আদালতে যাওয়ার পথে গতকাল কয়েকদফায় ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। আদালতে যাওয়ার সময় মগবাজার থেকে বিপুলসংখ্যক বিএনপি নেতা-কর্মী খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে যোগ দেন। মগবাজার থেকে কাকরাইল পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসানসহ অর্ধশত নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এদিকে চেয়ারপারসনকে জেলে নেওয়ার প্রতিবাদে দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার সাজার রায় ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক’ অভিহিত করে সারা দেশে আজ ও আগামীকাল শনিবার বিক্ষোভ-প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রায় ঘোষণার পর গতকাল বিকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনি এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি এ সময় বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বলেছেন কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচি দিতে বলেছেন। তারই নির্দেশে আজ জুমার নামাজের পর সারা দেশে  জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি হবে। পরদিন শনিবারও সারা দেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস  চেয়ারম্যান রুহুল আলম চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম  হোসেন আলাল, নিলোফার চৌধুরী মনি, রাশেদা বেগম হীরা, বেলাল আহমেদ, অধ্যাপক আমিনুল ইসলামসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আদালতে পৌঁছানোর পথে সংঘর্ষ : পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপির অর্ধশত নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তারা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। মগবাজার পয়েন্টে রমনা থানা পুলিশ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ার পরই সংঘর্ষ চানখাঁর পুল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে বিএনপির অর্ধশত নেতা-কর্মী ও সাতজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসা থেকে আদালত প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়কে বিচ্ছিন্নভাবে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। রাজধানীর অন্যান্য এলাকায় তেমন কোনো অবস্থান পরিলক্ষিত হয়নি। বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন এলাকায় নেতা-কর্মীরা লাঠি নিয়ে মিছিলও করেছে।

বেগম জিয়ার গাড়িবহর হাতিরঝিল থেকে মগবাজার মোড় পৌঁছাতে প্রায় ২০ মিনিট লেগে যায়। মগবাজার মোড়ে পৌঁছলে আরও কিছু নেতা-কর্মী যুক্ত হন। গাড়িবহরের সামনে মিছিল করায় এ সময় খালেদা জিয়ার গাড়ির গতি আরও কমিয়ে দেওয়া হয়। পরে ধীরে ধীরে ভিড় ঠেলে এগিয়ে যেতে থাকে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের পাশে পৌঁছায়। গাড়িবহরের সামনে নিখোঁজ বিএনপি নেতা হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে দেখা যায়। এ সময় ছাত্রলীগের সঙ্গে ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া দিয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সামনের রাস্তায় নিয়ে যায়।  পাল্টাপাল্টি হামলার সময় হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের বহির্বিভাগের বাইরের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক পর্যায়ে এ সময় বিপরীত দিক থেকে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা ছাত্রদলকে ধাওয়া দেয়। তখন সড়ক বিভাজকের ওপর থাকা ছোট ছোট গাছ ভেঙে লাঠি বানিয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মিছিল করে। ছাত্রদল নেতা আশরাফুল আলম রবিনের অভিযোগ, পরীবাগের দিক থেকেই ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরা প্রথম হামলা করে। এ সময় সেখানে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ইট-পাটকেলের আঘাতে কয়েকজন আহত হন। এরই মধ্যে এগিয়ে যায় খালেদা জিয়ার গাড়িবহর।

দেড়টার দিকে কাকরাইল মোড়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের সামনে পুলিশের সঙ্গে তার দলের কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ১০-১২ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এরপর কাকরাইল মোড়ে পুলিশ বক্সে ভাঙচুর করে বিএনপি কর্মীরা। ঘটনাস্থলে বিএনপি কর্মীদের ইট-পাটকেলে আহত হন দুই পুলিশ সদস্য। এ সময় কাকরাইল চার্চ মোড়ে বিক্ষোভকারীরা দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। এর মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের পূর্ব ফটকে একটি মোটরসাইকেল ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ফটকের সামনে আরেকটি মোটরসাইকেল পোড়ানো হয়। এ সময় অধিদফতরের সামনের সড়ক বিভাজকেও আগুন দিতে দেখা গেছে। এরপর মত্স্য ভবন মোড়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর আসার আগেই বহরের অগ্রবর্তী বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ পাল্টা জবাবে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে পুলিশের ধাওয়ায় পিছু হটে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় সেখান থেকে একজনকে আটক করা হয়।

এ দিকে দুপুর সোয়া ১টার দিকে পল্টন মোড় থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে ও কদম ফোয়ারার দিকে এগিয়ে যেতে থাকলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পুলিশ বাঁশি বাজিয়ে এগিয়ে গেলে নেতা-কর্মীরা আশপাশের গলিতে ঢুকে পড়েন, কেউ কেউ ফের পল্টনের দিকে চলে যান। এ সময় চারপাশে কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায়  দোকানপাট। পুলিশ প্রেস ক্লাবের উল্টোদিকে বিএমএ ভবনের পূর্বপাশের গলির গেট বন্ধ করে দেয়।  মগবাজার, মত্স্য ভবন ও কদম ফোয়ারা মোড়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী উপস্থিত থাকলেও নেতা-কর্মীদের ঢল সামাল দিতে বেগ পেতে হয় তাদের। তাদের নিরাপত্তা বেষ্টনী উপেক্ষা করে নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের সঙ্গে এগিয়ে যেতে থাকে। গাড়িবহর বেলা ১টা ৫০ মিনিটের দিকে বকশীবাজার মোড় অতিক্রম করে। নির্দিষ্ট কিছু গাড়ি ছাড়া সব গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। চানখাঁর পুল এলাকায় এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির কর্মী ও সমর্থকদের সংঘর্ষ ঘটে। পুলিশ এ সময় টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে বিএনপির কর্মীরা বাবুপুরার গলি দিয়ে অমর একুশে হলের সামনে অবস্থান নেয়। বেলা পৌনে ২টার দিকে খালেদা জিয়া আদালত প্রাঙ্গণে পৌঁছান। বকশীবাজার মোড়ে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদেরও আটকে দেওয়া হয়। এ সময় সেখানে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। একপর্যায়ে আইনজীবীদের পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।

বিশেষ আদালত প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা : বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও র‌্যাবের নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাবকে সামনে রেখেই পুলিশ এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলে। বুধবার গভীর রাত থেকে আদালত প্রাঙ্গণের চারদিকে বিভিন্ন রাস্তার প্রবেশমুখে ব্যারিকেড স্থাপন করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশের মুখে আল্লামা কাশগরী হলের কাছে পুলিশের প্রধান ব্যারিকেড। এই স্থানটির আগে ডা. ফজলে রাব্বী হলের কাছে আরও একটি ব্যারিকেড দেওয়া হয়। জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তায়, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের রাস্তা, চানখাঁরপুল, নাজিম উদ্দিন রোডে কারাগার সংলগ্ন মাজার রোড, চকবাজার, পলাশীর মোড়, ফায়ার সার্ভিস সদর দফতর সংলগ্ন আলাউদ্দিন রোড, ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সামনেসহ ১২টি স্থানে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল ও সাধারণ মানুষের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়।

ভোগান্তি : গতকাল অনুষ্ঠিত এসএসসির ধর্ম শিক্ষা পত্রের পরীক্ষায় পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনীর কারণে বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী ভোগান্তির শিকার হয়েছে। তবে পুলিশ পরীক্ষার্থীদের সঠিক সময়ে নিরাপদে তাদের কেন্দ্রে প্রবেশের সহায়তা করে। রাজধানীতে যানবাহন সীমিতভাবে চলাচলের কারণে তাদের কেন্দ্রে পৌঁছতে ভোগান্তির শিকার হয়েছে।

অপরদিকে, গোটা রাজধানীর পুলিশ ও র‌্যাবের রণসজ্জার কারণে অফিসগামী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

 সীমিত আকারে গণ পরিবহন চলাচল করে। পাশাপাশি অ্যাপসভিত্তিক পরিবহনব্যবস্থা বন্ধ থাকায় অনেকেই রিকশায় ও হেঁটে যাতায়াত করেছেন। গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালী ও ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনাল থেকে শতকরা আশি ভাগ গাড়ি ছেড়ে যায়নি। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের ঢাকা-কোম্পানীগঞ্জ রুটের তিশা পরিবহনের পরিচালক ওমর ফারুক বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আনুমানিক দেড়শটি বাস পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ছেড়ে গেছে। এই সময়ের মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার বাস ছেড়ে যায়। তবে বাইরের জেলা থেকে ঢাকায় বাসও এসেছে অনেক কম।

দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা সম্পর্কে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

সিলেট : খালেদা জিয়ার সাজার রায় কেন্দ্র করে সিলেটে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, দুপুর ১২টা থেকে জেলা পরিষদের ভিতরে জড় হতে থাকেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। অন্যদিকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন পাশের আদালতপাড়া ও কোর্ট পয়েন্ট এলাকায়। রায় ঘোষণার পর কোর্ট পয়েন্ট থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করলে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ধাওয়া করেন। তখন পুলিশ টিয়ার শেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বেলা আড়াইটার দিকে বন্দরবাজার হকার পয়েন্টে ভাঙচুর চালান জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামানের অনুসারী ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা। এ সময় সিটি পয়েন্ট থেকে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীরা এগিয়ে গেলে সংঘর্ষ বাধে। আধঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলার সময় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে। ছাত্রলীগের দুই কর্মী এ সময় গুলিবিদ্ধ হন। ইটপাটকেলের আঘাতে উভয় পক্ষের আরও ৮-১০ জন আহত হন। বিকাল পৌনে ৫টার দিকে নগরের জিন্দাবাজার পয়েন্টে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগ নেতাদের লাগানো সাইনবোর্ড ও ব্যানার ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ এসে ৭ রাউন্ড গুলি ছুড়ে ও তিনজনকে আটক করে পরিস্থিতি শান্ত করে। আরেক খবরে জানা গেছে, পুলিশি বাধার কারণে এদিন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী তার কুমারপাড়ার বাসা থেকে বের হতে পারেননি।

খুলনা : রায় ঘোষণার পর খুলনায় বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। বেলা আড়াইটার দিকে নগরীর কেডি ঘোষ রোডে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ সময় বিএনপি অফিসের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পুলিশের লাঠিচার্জের মধ্যে বিএনপি নেতা-কর্মীরা দলীয় অফিসের সামনে বসে পড়ে সমাবেশ করেন। পুলিশ সেখান থেকে নগর বিএনপির যুগ্মসম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, সাবেক ভিপি মাসুদ আলমসহ কয়েকজনকে আটক করে।

রংপুর : রায় ঘোষণার পর বিএনপি রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ নগরের জিএল রায় রোডে বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ একটি সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখন বিক্ষোভকারীরা ব্যাংকের একটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।

এ ছাড়া রায় ঘোষণার পরপরই দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে রায় প্রত্যাখ্যান করেন জেলা বিএনপি সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদ, মহানগর বিএনপি সভাপতি মোজাফফর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিজু প্রমুখ। আরেকদিকে রায়কে স্বাগত জানিয়ে নগরে আনন্দ মিছিল করেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

রাজশাহী : রায়ের দিন রাজশাহীতে পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যে ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি’ পালন করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। মহানগরী বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচিতে দীর্ঘদিন রাজনীতি থেকে দূরে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট কবীর হোসেনও অংশ নেন। বিএনপি নেতারা জানান, সকাল ১০টার দিকে কবীর হোসেন তাঁর বাড়ি থেকে বের হয়ে পিডিবি মোড়ে আসেন। এরপর মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশি বাধায় মিছিলটি সেখানেই আটকে যায়। পরে রিকশায় উঠে তিনি বসে থাকেন। রায় ঘোষণার পর রাজশাহীতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

চট্টগ্রাম : রায় ঘোষণা কেন্দ্র চট্টগ্রামে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। দুপুরে নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষ হয়। জানা গেছে, দুপুর দেড়টার দিকে ডা. শাহাদাতের নেতৃত্বে বেশকিছু নেতা-কর্মী দলীয় কার্যালয়ের বাইরের সড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের সরিয়ে ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়। এ সময় কর্মীরা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পরে পুলিশ কার্যালয়ের ভিতরের মাঠে ঢুকে লাঠিচার্জ করে। এ সময় কাজীর দেউড়ির মোড়ের কাছে এসে বিএনপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ দলীয় কার্যালয় থেকে ডা. শাহাদাত হোসেনসহ ১০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে আটক করে। এর আগে মহিলা দল নেত্রী আঁখি সুলতানাসহ আরও প্রায় পাঁচজনকে আটক করা হয়।

এদিকে গতকাল দিনভর চট্টগ্রামের রাজপথ ছিল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দখলে। নগরের বড় বড় মোড়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অবস্থান করেন।

কুমিল্লা : খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের প্রতিবাদে কুমিল্লায় আলাদাভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপির দুই গ্রুপ। দুপুরে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগরী বিএনপি নগরীর কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করে। সাধারণ সম্পাদক আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের নেতৃত্বে একটি মিছিল নগরীর জেনারেল হাসপাতাল রোড থেকে সালাউদ্দিন মোড়ে এলে পুলিশ বাধা দেয়। এ ছাড়া মহিলা কলেজ রোডে আলাদা বিক্ষোভ মিছিল করে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর গ্রুপ। আরেক খবরে জানা গেছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল থেকে ডেকে নিয়ে এক কর্মীকে মারধর করেছেন নিজ দলের নেতা-কর্মীরা। দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণার পর আনন্দ মিছিল চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।

সাতক্ষীরা : বেগম খালেদা জিয়ার সাজার রায় ঘোষণার পর সাতক্ষীরায় সড়কের পাশে রাখা একটি এসি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যায় শহরতলির বাকালে এ ঘটনা ঘটে।

ময়মনসিংহ : রায় ঘিরে সকাল থেকে ময়মনসিংহ বিএনপি কার্যালয় ছিল তালাবদ্ধ। রায়ের পর শহরের বাগানবাড়ী এলাকা থেকে লিটন আকন্দের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা হলে পুলিশ ২৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় দুই কর্মীকে আটক করা হয়। এ ছাড়া রায়ের প্রতিবাদে আদালত প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। হালুয়াঘাট বাজারের কাচারি রোড এবং ধারা বাজারে বিএনপি কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেন। অন্যদিকে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে তৎপর ছিলেন সারা দিন।

হবিগঞ্জ : রায় ঘোষণার পর বিকালে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিআর শেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনামুল হক সেলিমসহ পাঁচজন আহত হন।

নেত্রকোনা : রায় ঘোষণার পর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পারলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা একটি সাদা প্রাইভেট কার ভাঙচুর করেছেন। একটি মোটরসাইকেলেও তারা অগ্নিসংযোগ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়লে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

কিশোরগঞ্জ : বেগম খালেদা জিয়ার সাজা ঘোষণার পর কিশোরগঞ্জে বিএনপি ঝটিকা মিছিল করেছে। এ সময় মিছিলকারীরা দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন দেয়। শহরের পুরান থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।

শেরপুর : গতকাল ভোর ৪টার দিকে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার ঝগড়ারচর উত্তরবাজার এলাকায় পাথরভর্তি একটি ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুনে প্রায় পুড়ে যাওয়া অবস্থায় ট্রাকটিকে উদ্ধার করেছে শ্রীবরদী থানা পুলিশ। পুলিশের ধারণা, খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে এ ঘটনাটি ঘটানো হতে পারে।

সুনামগঞ্জ : পুলিশের বাধার মুখে সুনামগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। রায় ঘোষণার পর পর শহরের আরপিন নগর এলাকা থেকে মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি পুরাতন বাসস্টেশন এলাকায় এলে গতিরোধ করে পুলিশ। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ অবস্থানের পর পুরাতন বাসস্টেশন এলাকা ত্যাগ করেন নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা শহরের কয়েকটি পয়েন্টে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

জামালপুর : পুলিশি বাধার মুখে জামালপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা বিএনপি। মিছিলটি স্টেশন রোডে দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।

গাইবান্ধা : গাইবান্ধা জেলা শহরে বিএনপি, মহিলা দল, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা পৃথক বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। এসব মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও দুই স্থানে ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ছাড়া এ সময় ২০ নেতা-কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে আহত হয়েছেন ১০ জন। বিকাল ৩টার দিকে শহরের গোডাউন রোডে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর বাসভবনে হামলা চালানো হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আরও জানা গেছে, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিলের মুখোমুখি হলেও দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

চাঁদপুর : রায়ের প্রতিবাদে চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। এর এক পর্যায়ে নতুন বাজার ও হাইমচর উপজেলার আলগী বাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ছাড়া হাজীগঞ্জে ঝটিকা মিছিল থেকে কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ জানায়, ২৪ ঘণ্টায় চাঁদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের অন্তত ৫০ নেতা-কর্মী আটক করা হয়েছে।

নোয়াখালী : খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদে নোয়াখালীতে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল করতে গেলে বাধা দিয়েছে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। বিএনপির দাবি, এ সময় শামীম (২৫) ও রুবেল (২২) নামে দুই বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বিকাল ৩টার দিকে জেলা শহরের দত্তেরহাট বাজার ও জেলা জজ কোর্ট চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে সকালে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি মাইক্রোবাসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।

সিরাজগঞ্জ : খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ শহরে ও বেলকুচিতে ঝটিকা প্রতিবাদ মিছিল করেছে বিএনপি-ছাত্রদল ও যুবদলের কর্মীরা। বিকালে ইবি রোডে ঝটিকা মিছিল বের করলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে দুই-তিন মিনিটের সংঘর্ষের পর বিএনপি কর্মীরা পিছু হটে যায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রায় ঘোষণা হওয়ার পরপরই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন। পরে প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়।

বরগুনা : খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে গতকাল সকাল থেকে বরগুনা জেলা বিএনপি নেতা-কর্মীদের দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ। পরে বিকাল ৪টার দিকে অফিস খুলে দেওয়া হলে নেতা-কর্মীরা চলে যান।

কুড়িগ্রাম : খালেদা জিয়ার ৫ বছরের জেল হওয়ায় কুড়িগ্রামে আনন্দ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ। দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অবস্থান নেওয়া ছাত্রলীগ কর্মীরা রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দ উল্লাস করেন। পরে একটি আনন্দ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে।

অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে নাশকতার আশঙ্কায় গতকাল সকাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের ১৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরও আটক : এ ছাড়া গতকাল পুলিশ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিএনপি-জামায়োতের ৫, নীলফামারীতে বিএনপি-ছাত্রদলের ৪, পঞ্চগড়ে বিএনপির ৪, সিরাজগঞ্জে বিএনপি-ছাত্রদলের ৩, নওগাঁয় বিএনপি-জামায়াতের ২৭, দিনাজপুরে বিএনপি-জামায়াতের ২৭, চাঁদপুরে বিএনপি-জামায়াতের ৩০, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিএনপির ৩, বান্দরবানের লামায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৭, বাগেরহাটে বিএনপি-জামায়াতের ৭, পিরোজপুরে বিএনপির ১৪, মাদারীপুরে কালকিনিতে ছাত্রদলের ১, ফেনীতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৭, নাটোরে বিএনপি সমর্থিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ৬ জনকে আটক করেছে।

সর্বশেষ খবর