রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

বংশালে ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে দগ্ধ পাঁচ শিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে ৫ শিশু দগ্ধ হয়েছে। এরা সবাই মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। গতকাল সকালে বংশালের আলুবাজার হাজী ওসমান গনি রোডে এ ঘটনা ঘটে।

দগ্ধ শিশুরা হলো সালমান (৮), জাবেদ (১০), আশিক (৯), মোস্তাকিন (১০) ও আবদুর রহমান (৯)। আতঙ্কে ছুটতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে আরও সাজ্জাদ (৭)। এরা সবাই মোহাম্মদীয়া ইসলামীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তাদের উদ্ধার করেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে    ভর্তি করা হয়। মাদ্রাসা ও মসজিদ কমিটির সভাপতি নাসির উদ্দিন জানান, তৃতীয় তলা ভবনটির নিচতালা ও দ্বিতীয় তলা মসজিদ। তৃতীয় তলায় মাদ্রাসা। মাদ্রাসার পাশে রয়েছে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার। আনুমানিক সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ ট্রান্সফর্মার বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে স্পার্ক হয়ে তারে আগুন লাগে। সেই আগুন জানালার গ্রিলের ফাঁকা স্থান দিয়ে শিশুদের শরীরে পড়ে। বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) শাহেদুর রহমান জানান, ঠাণ্ডা বাতাস যেন না প্রবেশ করে এজন্য গ্রিলে ত্রিপল টানানো ছিল। ট্রান্সফরমারের তারের আগুন ওই ত্রিপলে লাগলে শিশুরা দগ্ধ হয়।

ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল বিকালে জানান, দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় ৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং ২ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ভর্তিদের মধ্যে সালমানের শরীরের ১৪ শতাংশ, আশিকের ৫ শতাংশ, জাবেদের ৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় তারা আশঙ্কামুক্ত নয়।

এদিকে ঘটনার পরই বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) প্রধান প্রকৌশলী সেন্ট্রাল এবং বাংলাবাজারের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সম্পর্কে ডিপিডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ধারণা করা হয়- সকালে জিআই তারের ১১ কেভি লাইনের ওপর সম্ভবত কাক বসে। এতে উপরের পিন ইনসুলেটর সংলগ্ন অংশে ফ্লাসিং হয় এবং আর্থফল্টে ফিডারটি ট্রিপ করে। ফলে প্লাস্টিকের ত্রিপলে আগুন ধরে যায়।

সর্বশেষ খবর