রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

মাছ-মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ

মোস্তফা কাজল

মাছ ও মাংস উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। সরকারের পক্ষ থেকে আজ রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এমন ঘোষণা দেওয়া হবে। গতকাল মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপকালে এমন তথ্য জানা গেছে। আজ সকাল ১১টায় সচিবালয়ের মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে ‘২০১৬-১৭ অর্থবছরে মাছ ও মাংস—উৎপাদনে বাংলাদেশের স্বয়ংম্ভরতা অর্জন’ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে সাগর ও নদীর মোহনায় ইলিশের প্রজনন স্থানে এ মাছের উৎপাদন দিন দিন বাড়ছে। এ ছাড়া চিংড়ির উৎপাদন আরও বেড়ে যাওয়ায় বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারছি আমরা।

মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, দেশে এতদিন মাছ ও মাংস উৎপাদনে ঘাটতি ছিল। গত অর্থবছরে হিসাব অনুযায়ী চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে মাছ ও মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীকে এই সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক জাতীয় সংসদে জানিয়েছিলেন, দেশে জনপ্রতি বছরে মাছের চাহিদা ২১ কেজি ৯০ গ্রাম। এর বিপরীতে বছরে মাছ গ্রহণের পরিমাণ ১৯ কেজি ৩০ গ্রাম। এ ছাড়া এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশে মোট মাছের উৎপাদন হয় ৩৮ লাখ ৭০ হাজার টন। আর চাহিদা ছিল ৪০ লাখ টনের মতো। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ১২০ গ্রাম মাংসের চাহিদা রয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, একজন মানুষের দৈনিক মাংসের এ চাহিদা অনুযায়ী দেশে বছরে ৭৫ লাখ ৫২ হাজার টন মাংসের প্রয়োজন। কিন্তু ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশে মাংস উৎপাদিত হয়েছিল ৬১ লাখ ৫২ হাজার টন। ফলে ঘাটতি ছিল ৯ লাখ টন।

সর্বশেষ খবর