শিরোনাম
রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

মধুর কণ্ঠের পরিযায়ী পাখি বেনেবউ

আলম শাইন

মধুর কণ্ঠের পরিযায়ী পাখি বেনেবউ

এ পাখির বাংলা নাম, ‘কালাঘাড় বেনেবউ’। ইংরেজি নাম, ‘স্লেনডার-বিল্ড ওরিয়োল (Slender-billed Oriole)’। বৈজ্ঞানিক নাম, Oriolus tenuirostris। এরা ‘বাঁকাঠোঁট বেনেবউ’ নামেও পরিচিত। আমাদের দেশে হরেক প্রজাতির বেনেবউ নজরে পড়ে। প্রতি প্রজাতির গড়ন এবং রঙ একই রকম মনে হলেও খানিকটা পার্থক্য রয়েছে, যা পাখি বিশারদ ব্যতীত নিরূপণ করা বড়ই কঠিন। তবে প্রতি প্রজাতিরই রয়েছে নজরকাড়া রূপ, মায়াবী চেহারা, স্বভাবে লাজুক। এরা আড়ালে আবডালে থাকতে পছন্দ করে। বেশির ভাগই জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়। কণ্ঠস্বর সুমধুর। প্রাকৃতিক আবাসস্থল খোলা পাইন বন। শীতে পরিযায়ী হয়ে আসে। বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ, ভুটান, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, চীন, লাওস ও থ্যাইল্যান্ড। এদের গড় দৈর্ঘ্য ২১-২৫ সেন্টিমিটার। ওজন ৭২-৯২ গ্রাম। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারায় তফাৎ নেই খুব একটা। পুরুষ পাখির মাথার তালু ও ঘাড় উজ্জ্বল হলুদ। চোখের দুপাশ থেকে কালো চওড়া টান; ঘাড়ের উপরে মিশেছে। পিঠ জলপাই হলুদ। ডানার প্রান্ত পালক কালো; মাঝে মধ্যে সাদা টান এবং জলপাই হলুদ ছোপ। লেজের উপরের পালক কালো। দেহতল উজ্জ্বল হলুদ। ঠোঁট গোলাপি-লাল। চোখ গাঢ় বাদামী। পা সিসে রঙের। এদের প্রধান খাবার পোকামাকড়, ফুলের মধু ও ছোট ফল। প্রজনন মৌসুম এপ্রিল থেকে মে। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। গাছের উঁচু ডালে খড়কুটা দিয়ে কাপ আকৃতির বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ২-৩টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৩-১৫ দিন।

সর্বশেষ খবর