শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

অতিথি পাখিতে মুখর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওর

মোশাররফ হোসেন বেলাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

অতিথি পাখিতে মুখর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওর

প্রকৃতিকে উপভোগ করার জন্য হাজার হাজার মাইল দূর থেকে আসে অতিথি পাখি। আর এরকম হাজার প্রজাতির অতিথি পাখির কলতানে মুখর হয়ে উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, সরাইল এবং বিজয়নগর এলাকার হাওর বেষ্টিত অঞ্চল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নীলশির, লালশির, রাঙ্গামুরির মতো অতিথি পাখিও ভিড় করেছে হাওরে। এর সঙ্গে আরও আছে বালি হাঁস, পাতারি হাঁস, বৈকাল হাঁসসহ বাহারি নানান জাতের হাঁস। নাসিরনগরের মিদি হাওর, বাকলঙ্গন, বলবদ্ধ, ধলেশ্বরী ও মেহেদি হাওরে বছরের এই সময়টিতে কয়েক প্রজাতির হাজার হাজার অতিথি পাখির কলকাকলীতে মুখর থাকে। সে অনুযায়ী এবারও এমন কলকাকলীতে প্রকৃতিতে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। সরাইল উপজেলার আকাশি, শাপলা বিল, তুলা বিল ও কটিয়া বিলও অতিথি পাখির আরেক অভয়ারণ্য। এসব অঞ্চলে অতিথি পাখির সৌন্দর্য উপভোগ করতে আশপাশের জেলা থেকে হাজারও পাখি প্রেমিক ছুটে আসছেন প্রতিনিয়ত। বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুরেও এসেছে অতিথি পাখি।

ওয়াকিবহাল সূত্র জানায়, শীতের শুরুতে পাখিরা এখানে আসে এবং পাঁচ মাসেরও অধিক সময় অবস্থান করে। ফলে বিকাল হলেই পাখির কলরবে মুখরিত হয়ে ওঠে ইসলামপুর এলাকা। সূত্র জানায়, এবার এসেছে হাজারো বক-জাতীয় অতিথি পাখি। প্রতিবছর এদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীতের শুরুতে বছরের নভেম্বর মাসে উত্তরের হিমালয় থেকে এ পাখি এখানে আসে এবং মার্চের শেষ সময় পর্যন্ত অবস্থান করে। স্থানীয়রা এদের বক বলে ডাকে। গাছের মগডালে এদের বসবাস। এগুলো সকালে ঝাঁক বেঁধে খাবারের জন্য উড়ে যায় আশপাশের হাওর-বিলগুলোতে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গণেশ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, পাখিদের নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তোলার জন্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। এজন্য মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন।

সর্বশেষ খবর