শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

পুলিশ পরিচয়ে কিশোরী তুলে নিয়ে ধর্ষণ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের ইয়াছিন হাজীর বাজারসংলগ্ন স্থানে পুলিশ পরিচয়ে এক কিশোরীকে (১৫) তুলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার ১১ দিন পার হলেও পুলিশ এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে ধর্ষিতা কিশোরীর বাবা অভিযোগ করেছেন, যুবলীগ নেতা শরীফ মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে।

ভিকটিমের বাবা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার কয়েক দিন আগে ৭ ফেব্রুয়ারি তার মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী শাহপুর গ্রামের ইয়াছিন হাজীর বাজারসংলগ্ন মামার বাড়িতে বেড়াতে যায়। ৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে মজিবুর রহমান শরীফের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশের পরিচয় দিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলে। কিছুক্ষণ ধাক্কাধাক্কির পর কোনো সাড়া না পেয়ে তারা ঘরের দরজা-জানালা ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় নিরুপায় হয়ে তার মামি দরজা খুলে দেন। পরে হামলাকারীরা তার মেয়েকে ঘুম থেকে তুলে তার ভোটার আইডি কার্ড ও জন্মনিবন্ধন দেখাতে বলে। সে এগুলো না দেখাতে পারায় জোরপূর্বক একটি মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে একটি বাগানে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং পরে চোখ বেঁধে বাড়ির পাশের সড়কে ফেলে যায়। এ ঘটনা কাউকে বললে সেসহ পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকিও দিয়ে যায়। কিশোরীর মা বলেন, তিনি বাদী হয়ে ঘটনার পরপরই চাটখিল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে। পরে অনেক ঘোরাঘুরির পর ১১ ফেব্রুয়ারি চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ইকবাল বাহার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা শরীফের নাম বাদ দেওয়ার শর্তে মামলা নিতে রাজি হয়। পরে বাধ্য হয়ে শরীফকে বাদ দিয়ে অন্য দুই আসামি জামাল ও কামালের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করি। চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল আনোয়ার ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করলেও মামলায় প্রধান আসামির নাম বাদ দেওয়ার কথা স্বীকার করছেন না। তিনি বলেন, বাদী যাদের নাম দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলা গ্রহণ না করতে চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে চাটখিল থানার ওসি জহিরুল আনোয়ার জানান, তিনি ভিকটিমের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছেন। তবে আসামিদের ঠিকমতো শনাক্ত করতে না পারায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ খবর