বুধবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

দুই সিটির অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ পাঁচ নির্দেশনা

গোলাম রাব্বানী

আসন্ন গাজীপুর-খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ করতে সিটি এলাকার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বরাবর পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান দ্রুত শুরু করবে পুলিশ। এ জন্য তারা দুই সিটির বিভিন্ন এলাকায় টহলও জোরদার করছে। ইসির পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে কয়েকটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। (ক) সিটি এলাকার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার (খ) সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান (গ) আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা (ঘ) আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের জন্য অগ্রিম বাজেট প্রণয়ন (ঙ) অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুতকরণ। চিঠিতে নির্বাচন কমিশনের এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।  অন্যদিকে নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ১৫ দিন সময় অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া নির্বাচন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদলি করা যাবে না। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমকে পাঠানো এক চিঠিতে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত অফিস বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্ত-কর্মচারীদের সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান অনুসরণ করে তাদের অর্পিত দায়িত্ব পালনের বিষয়ে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্দেশনা জারি করার অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো অপর এক চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের সময় সরকারের রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিল থেকে কোনো ধরনের প্রকল্প অনুমোদন, প্রকল্পের ঘোষণা বা প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা যাবে না। সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সরকারি, আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুদান দেওয়া, বরাদ্দ ঘোষণা বা অর্থ অবমুক্ত করা যাবে না। সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর বা করপোরেশনের পদাধিকারী কোনো ব্যক্তির এলাকায় কোনো ধরনের উন্নয়নমূলক প্রকল্প অনুমোদন বা অনুমোদিত কোনো প্রকল্পে অর্থ অবমুক্ত করা যাবে না।

সর্বশেষ খবর