শুক্রবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি

লিচুর মুকুল থেকে মধু সংগ্রহ

দিনাজপুর প্রতিনিধি

লিচুর মুকুল থেকে মধু সংগ্রহ

দিনাজপুরে মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে লিচুর বাগান। লিচু বাগানগুলোয় এখন মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ। আর এই মৌ গন্ধে মৌমাছিরা এ গাছ থেকে ও গাছে উড়ে সংগ্রহ করছে মধু। সুস্বাদু, মিষ্টি ও লোভনীয় এ মধু মৌমাছির মাধ্যমে আহরণ করছেন মৌচাষিরা। এতে বাগানি ও মৌচাষি উভয়ই লাভবান হচ্ছেন। লিচুবাগানে মৌমাছির বাক্স বসিয়ে মধু আহরণ করছেন দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ৭ জন মৌচাষি। এসব ভ্রাম্যমাণ মৌচাষি লিচুগাছের তলায় বাক্স বসিয়ে মুকুল থেকে মধু সংগ্রহ করছেন।

মৌচাষিরা মধু সংগ্রহ করে লাভবান, অন্যদিকে মৌমাছির মাধ্যমে মুকুলের পরাগায়ণ ঘটায় লিচুর বাম্পার ফলনের আশা বাগানিদের। এতে বেকারত্ব যেমন দূর হচ্ছে; তেমনি লিচুর ফলনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার এ মধু যেমন খাঁটি, তেমনি সুস্বাদু। মানের দিক থেকে উন্নত হওয়ায় এর চাহিদাও বেশি।

চিরিরবন্দরের অমরপুর ও পুনট্টি ইউনিয়নের লিচুবাগানগুলোতে মৌমাছির বাক্স বসিয়ে মধু আহরণ করছেন এসব মৌচাষি। চিরিরবন্দরের পুনট্টি ইউপিতে চক মুসা গ্রামের বিলপাড়ার আলহাজ মোজাহার আলীর ৪ বিঘা জমিতে ৩টি লিচুবাগান আছে। টাঙ্গাইল থেকে আসা ৭ জন মৌচাষি ছোট-বড় বিভিন্ন বাক্স বসিয়ে এই বাগানে মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহ করছেন।

টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুরের পাঁচতেল্লা গ্রামের মৌচাষি দুলাল তালুকদার জানান, বিসিক মৌমাছি প্রকল্পের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে মৌচাষ শুরু করি। এ বাগানে মৌমাছির বাক্স রয়েছে ২৬০টি। ২/৩ দিনের মধ্যে বাক্সগুলো থেকে মধু সংগ্রহ করা হয়। মুকুলের ওপর নির্ভর করবে মধুর পরিমাণ। চলতি মৌসুমে এ বাগান থেকে ১০০ মণেরও বেশি মধু সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রতি মণ মধু ৭/৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ মধু এপি কোম্পানিতে দেওয়া হয়। বাগান মালিক আলহাজ মোজাহার আলী জানান, বাগানে মৌমাছি যত বেশি আসবে, তত পরাগায়ণ ঘটবে। এতে লিচুর ফলনও বেশি হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৫১০ হেক্টর জমিতে বোম্বাই, চায়না থ্রি, কাঁঠালি, মাদ্রাজিসহ নানা জাতের লিচুর চাষ হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে পরাগায়ণ ঘটলে ২০/৩০ ভাগ লিচুর ফলন বেশি পাওয়া যাবে।

সর্বশেষ খবর