সোমবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
জয়ে মরিয়া নৌকা-ধানের শীষ

খুলনায় প্রচারণায় নানা অঙ্গীকার

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনায় প্রচারণায় নানা অঙ্গীকার

খুলনা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা গতকাল দিনভর ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময়, পথসভা ও নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত থেকে নানামুখী অঙ্গীকার করেছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক সকালে নগরীর ৩০নং ওয়ার্ড, রূপসা স্ট্যান্ড রোড, দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরি, মোক্তার হোসেন সড়কে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় পথসভায় তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করব। জলাবদ্ধতা নিরসন, মশা নিধন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি করা হবে। সিটি করপোরেশন জবাবদিহিমূলক স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান করা হবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘২০০৮ সালে দায়িত্ব গ্রহণের সময় সিটি করপোরেশন ছিল দেনাগ্রস্ত ও দুর্নীতিতে জর্জরিত প্রতিষ্ঠান। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ দিয়েছিলেন। বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে ২৭৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল। আজ সিটি করপোরেশন আবারও দেনাগ্রস্ত ও দুর্নীতিতে জর্জরিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।’ তিনি খুলনা মহানগরীকে পরিচ্ছন্ন মডেল নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুর রহমান রিপন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আকবর শেখ, সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম। পরে তালুকদার আবদুল খালেক নগরীর সেন্ট জেভিয়ার্স হাই স্কুলে মা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। এখানে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মো. সাইফুল ইসলাম, শেখ মো. আবদুল আজিজ, শেখ রুহুল আমিন, রবিউল ইসলাম, নগর যুবলীগ নেতা শফিকুর রহমান পলাশ। বিকালে তিনি নগরীর মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আলোচনা সভা ও ৩১ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন।

অপরদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু সকাল ১০টা থেকে নগরীর ২০নং ওয়ার্ড, ফেরিঘাট, দেবেন বাবু রোড, শেখপাড়া মেইন রোড, সঙ্গীতা হল সংলগ্ন মার্কেট, শেখপাড়া লোহাপট্টি, শেখপাড়া কাঁচাবাজার এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ি, চলাচলরত যানবাহনের যাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করার আন্দোলনে কেসিসি নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করার কোনো বিকল্প নেই।’ মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে মঞ্জু বলেন, ‘কারা মাদক ব্যবসা করেন আর কারা তাদের গডফাদার- তা নগরবাসী জানেন। পত্রিকায় তাদের নাম ও ছবি ছাপা হয়। এই ওয়ার্ডে মাদকের ভয়াল ছোবল যুব সমাজকে কলুষিত করছে। মেয়র নির্বাচিত হলে মাদকের শিকড়সহ উচ্ছেদ করব।’ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে দিতে হবে। কোন ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না।’ এ সময় তার সঙ্গে বিজেপি সভাপতি অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান লাবু, জেপি (জাফর) সভাপতি মোস্তফা কামাল, বিএনপি নেতা মোল্লা আবুল কাশেম, সিরাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান, ফখরুল আলম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আবদুর রশিদ, আবু হোসেন বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, আজিজুল হাসান দুলু, ইকবাল হোসেন খোকন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও নির্বাচনে প্রার্থী শেখ গাউসুল আযম, জালাল শরীফ, গোলাম নবী বাবু, আক্কাস মৃধা, ইকবাল খান, মহিউদ্দিন টারজান, সাত্তার মাস্টার, ফিরোজ মোল্লা, লিটু পটোয়ারী, খায়রুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান, শাকিল আহমেদ, তাহের মোল্লা, আলতাফ হোসেন, মীর মোসলেম উদ্দিন বাবর, জাবির আলী, হাবিবুর রহমান হাবিব, হারুন হাওলাদার, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী শামসুন নাহার লিপি উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকাল ৮টা হতে ১০টা পর্যন্ত নজরুল ইসলাম মঞ্জু নগরীর গল্লামারী, অগ্রণী ব্যাংক কলোনি ও কাঁচাবাজারে ব্যাপক গণসংযোগ করেন। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি মুজিবর রহমান, মোল্লা আবুল কাশেম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, কাউন্সিলর প্রার্থী শমসের আলী মিন্টু, ওমর ফারুক, মুজিবর রহমান ফয়েজ, মিজানুর রহমান, হাফেজ আবুল বাশার, আল বেলাল, আবদুস সোবহান প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর