শুক্রবার, ৪ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

পরীক্ষায় কড়াকড়ির কারণে নোয়াখালীতে কলেজ ভাঙচুর

নোয়াখালী প্রতিনিধি

চলতি এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার কক্ষে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল পরীক্ষার্থী নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে হামলা করে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। গতকাল পরীক্ষা শেষে দুই শতাধিক পরীক্ষার্থী বেলা ১টা থেকে প্রায় ২টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এ ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালায়। এতে কলেজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে র‌্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৭ জনকে আটক করে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার গতকাল ছিল শেষ দিন। নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে গতকাল ছিল বিজ্ঞান বিভাগের উচ্চতর গণিত ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন বিষয়ের পরীক্ষা। নোয়াখালী সরকারি কলেজ ও সোনাপুর কলেজের ১ হাজার ৮৩ জন পরীক্ষার্থী গতকালের পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মুশফিকুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক নূরুল হুদা সোহাগসহ অন্য শিক্ষকরা বলেন, পরীক্ষার শুরু থেকেই শিক্ষার্থীরা কক্ষের মধ্যে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরীক্ষা শেষে বেলা ১টার দিকে কয়েকশ শিক্ষার্থী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লাঠিসোঁটা ও ইট-পাটকেল নিয়ে কলেজে হামলা চালায়। হামলাকারীরা কলেজের প্রধান ফটক ও ছাত্রী নিবাসের ফটকে তালা ঝুলিয়ে হামলা চালায়। এ সময় কলেজের বিজ্ঞান ভবন, শিক্ষক মিলনায়তন ও মসজিদের ওপর হামলা করে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। হামলাকারীরা পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিভাগের পরীক্ষাগার (ল্যাবরেটরি), আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতি এবং শিক্ষক মিলনায়তনের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভেঙে তছনছ করে। হামলাকারীরা শিক্ষকদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে শিক্ষক মিলনায়তনের জানালার কাচ ভেঙে ৪-৫ জন শিক্ষক আহত হন। এ সময় নারী শিক্ষকরা প্রাণভয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। হামলার সময় পরীক্ষা দিতে আসা ৩ শতাধিক নারী শিক্ষার্থীও আটকা পড়েন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ তাণ্ডব চালিয়ে হামলাকারীরা কলেজের ২২টি কক্ষ, আসবাবপত্র ও জানালার কাচ ভাঙচুর করে।

কলেজের অধ্যক্ষ আক্তারী বেগম বলেন, হামলার ঘটনার শুরুতেই সুধারাম থানা পুলিশকে ফোন করা হলেও ঘটনাস্থলে আসতে ৫০ মিনিট সময় লেগেছে। পুলিশ ফোনের গুরুত্ব দিয়ে আরও আগে এলে কলেজের এত ক্ষতি হতো না। কলেজ অধ্যক্ষের এ অভিযোগ অস্বীকার করে সুধারাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে ৮ শিক্ষার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সর্বশেষ খবর