শুক্রবার, ৪ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ড্রাম সিডার

দিনাজপুর প্রতিনিধি

কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ড্রাম সিডার

অল্প সময়ে, শ্রম ও খরচ কমে যাওয়ায় এবং বেশি ফসল পাওয়ায় দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে কৃষকদের মধ্যে ড্রাম সিডার পদ্ধতিতে আউশ নেরিকা ধান চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

জানা যায়, দুপাশে প্লাস্টিকের দুটি চাকার ভিতর একটি লোহার দণ্ডের মধ্যে সারিবদ্ধভাবে নির্দিষ্ট দূরত্বে ছোট আকৃতির ছয়টি প্লাস্টিকের ড্রাম থাকে। প্রতিটি ড্রামে থাকে কয়েকটি ছিদ্র। প্লাস্টিকের চাকার সঙ্গে লাগানো থাকে একটি হাতল, যেটি ধরে একজন কৃষক সহজেই যন্ত্রটিকে টানতে পারেন। ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা হলেই যন্ত্রটি বানানো যায়। ড্রাম সিডারের মাধ্যমে একজন কৃষক একদিনে দুই একর জমিতে ধান বপন করতে পারেন। কিন্তু সনাতন পদ্ধতিতে এই ধানের চারা রোপণ করতে অন্তত ২৫ জন শ্রমিক লাগে।

 চিরিরবন্দরের নশরতপুর ইউপি’র ডাক্তারপাড়া গ্রামের কৃষক শহীদ ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও নুরজামান জানান, ড্রাম সিডার দিয়ে ধান চাষ করায় উৎপাদন খরচ ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমেছে। সনাতন পদ্ধতিতে এক একর জমিতে ২০ কেজি বীজ লাগে। বীজ বপনের ৩০ থেকে ৩৫ দিন পরে বীজতলা থেকে চারা তুলে ক্ষেতে লাগাতে হয়। এ কাজে ১০ থেকে ১৫ জন শ্রমিক লাগে। অথচ ড্রাম সিডারের মাধ্যমে এক একর জমিতে সরাসরি ধান বপন করতে একজন শ্রমিকই যথেষ্ট। যেখানে সনাতন পদ্ধতিতে বীজ লাগত ২০কেজি, সেখানে ড্রাম সিডার পদ্ধতিতে বীজ লাগবে ১০কেজি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান জানান, জমি ও পরিবেশ ভেদে আউশ, আমন ও বোরো তিন মৌসুমে এই প্রযুক্তিতে চাষ করা যায়। তবে আউশ ও বোরো ধান চাষের জন্য বেশি উপযোগী। ড্রাম সিডার দিয়ে ধান চাষ করায় উৎপাদন খরচ ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমেছে। সময়, খরচ ও শ্রম কম দিয়ে বেশি ফসল পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ড্রাম সিডার পদ্ধতিতে আউশ নেরিকা ধান চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। কৃষক লাভবানও হচ্ছে। সমপ্রতি ড্রাম সিডারের সাহায্যে সরাসরি ধানের চারা রোপণে চিরিরবন্দরের নশরতপুর ইউপি’র ডাক্তারপাড়া গ্রামে প্রদর্শনী হয়েছে।

সর্বশেষ খবর