শুক্রবার, ৪ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা
রিজার্ভ চুরি

সমঝোতার ভিত্তিতে অর্থ ফেরতের চেষ্টা চলছে : অর্থমন্ত্রী

মানিক মুনতাসির, ম্যানিলা, ফিলিপাইন থেকে

নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় মামলা করা নয় বরং অর্থ উদ্ধারকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। এজন্য আদালতের বাইরেই সমঝোতার ভিত্তিতে অর্থ আদায়ের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া ফিলিপাইনের অর্থমন্ত্রী কার্লোস ডোমিনগুুয়েজও এ বিষয়ে মামলা না করতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে অনুরোধ করেছেন। এজন্য দুই পক্ষই কোর্টের বাইরে এ সমস্যার সমাধান করতে সম্মত হয়েছে। তবে রিজার্ভ চুরির দায়ে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্সিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনকে (আরসিবিসি) যে ২০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়েছে সেটা বাংলাদেশের প্রাপ্য বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী মুহিত। এজন্য সে অর্থ পেতে বাংলাদেশ ব্যাংক নানাভাবে চেষ্টা করছে। অর্থমন্ত্রীর এ প্রস্তাবের সঙ্গে ফিলিপাইনের অর্থমন্ত্রীও একমত পোষণ করেছেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) হেড কোয়ার্্টারে ৫১ তম বার্ষিক সভার উদ্বোধনী দিনে মুহিত সে দেশের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। ঐ বৈঠকে তার সফরসঙ্গী ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আজম, ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম, এডিবির বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মাহবুব আহমেদসহ অন্যরা অংশ নেন। এর আগে তিনি এডিবির বার্ষিক সভার আরও একাধিক সেশনে অংশগ্রহণ করেন। দিন শেষে ম্যানিলার বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।  অর্থমন্ত্রী বলেন, মামলাই একমাত্র সমাধান নয়। এছাড়া মামলা হচ্ছে একটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। কিন্তু বাংলাদেশের মূল উদ্দেশ্য, খোয়া যাওয়া টাকাটা উদ্ধার করা। দায়ীদের শাস্তি চাইলেই দেওয়া যায়। কিন্তু টাকাটা আগে উদ্ধার করতে হবে। দোষীদের শাস্তির পরেও দেওয়া যাবে বলে তিনি মনে করেন। এ ছাড়া ফিলিপাইনে এ সংক্রান্ত যেসব মামলা চলছে সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যাপারে আহবান জানিয়েছে অর্থমন্ত্রী। রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশের করা তদন্ত প্রতিবেদনে কি রয়েছে সেটা আবারো জানতে চেয়েছে ফিলিপাইন। তবে আগের মতো গতকালও অর্থমন্ত্রী ফিলিপাইনের অর্থমন্ত্রীর ঐ প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন।

এদিকে এডিবি’র বার্ষিক সভার প্রথমদিনে অর্থমন্ত্রী বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় অর্থবাণিজ্য সংক্রান্ত প্রকাশনা সংস্থা ইউরো-মানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা বলেছেন, বাংলাদেশে প্রয়োজনের তুলনায় ব্যাংকের সংখ্যা অনেক বেশি। ব্যাংকিং খাতের নাজুক অবস্থার বিষয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের সরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর অবস্থা বেশি খারাপ। এগুলোর নন পারফরমিং লোন (এনপিএল) ৩০ শতাংশ। সেখানে বেসরকারি ব্যাংকের এনপিএল মাত্র ৭ শতাংশ।

সর্বশেষ খবর