হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাঈনুদ্দীন রুহী বলেছেন, হেফাজতে ইসলাম অরাজনৈতিক সংগঠন। আমাদের কর্মসূচিগুলো ইমান ও আকিদাকেন্দ্রিক। নাস্তিক মুরতাদদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। হেফাজত কোনো নির্বাচনেও অংশ নেবে না এবং কোনো রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তিও করবে না। আমরা কোনো জোটে নেই, কোনো জোটও করব না। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে মুঠোফোনে তিনি একথা বলেন।  মাঈনুদ্দীন রুহী বলেন, হেফাজতে ইসলামের রাজনীতিতে যাওয়ার কিংবা নির্বাচন করার কোনো উচ্চাভিলাষ নেই। হেফাজত রাজনৈতিক দল নয়। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর মতো মিছিল কিংবা সমাবেশ করেনি। আমরা জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচিতে বিশ্বাসী নই। আমরা মানুষের নীতি-নৈতিকতার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা প্রসঙ্গে বলেন, তখন একটি মহল বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ তোলে। পরবর্তীতে তারা অভিযোগ তুলছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাতের। ভবিষ্যতে এ মহলটিই অভিযোগ করবে হেফাজতের বামপন্থীদের সঙ্গে আঁতাত করেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি কিংবা অন্য দলগুলোর সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের বন্ধুত্ব কিংবা শত্রুতা নেই। আমরা নিজেদের মতো করেই ইমান-আকিদা রক্ষার আন্দোলন করে যাব। মাওলানা রুহী বলেন, আমাদের কর্মসূচিগুলো শানে রেসালা সম্মেলন এবং ওয়াজ মাহফিলের মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে। তিনি দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব-দূরত্ব থাকার বিষয়ে বলেন, হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কোনো দূরত্ব নেই। দলের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ। হেফাজতে ইসলামে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নেই। সবাই আমিরের নির্দেশ মতো কাজ করতে বদ্ধপরিকর। দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে মাওলানা রুহী বলেন, সার্বিক বিবেচনা করলে দেশের পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নেই। দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা চাই আগামীতে গ্রহণযোগ্য এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। যে নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে। হেফাজতে ইসলাম চায় এমন একটি নির্বাচন হোক, যে নির্বাচনের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।