বৃহস্পতিবার, ৭ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

এরশাদের জোটে আছি থাকব : এম এ মতিন

এরশাদের জোটে আছি থাকব : এম এ মতিন

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব এম এ মতিন বলেছেন, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটে (ইউএনএ) আছি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জোটে থেকেই অংশ নেব। জোটের কাছ থেকে ৭৩ আসন চাই। তবে এইচ এম এরশাদ যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে শেষ মুহূর্তে জোট করেন তাহলে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেই করতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি একথা বলেন। এম এ মতিন হেফাজত বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম রূপকার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের প্রধান সমন্বয়কারী। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে দলের সাংগঠনিক অবস্থা, সরকারের নানা সফলতা-ব্যর্থতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন। নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এম এ মতিন বলেন, এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন ইউএনএ জোটের একমাত্র নিবন্ধিত শরিক দল আমরা। ইতিমধ্যে ৭৩টি আসনে প্রার্থী তালিকা জোট প্রধানের কাছে পাঠিয়েছি। নীতিনির্ধারকরা কয়টি আসন ছাড় দেবেন তা সিদ্ধান্ত নেবেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট হলে আমাদের তখন বড় ছাড় দিতে হবে, এটাও আমরা জানি। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সাংগঠনিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে এম এ মতিন বলেন, সাংগঠনিক অবস্থা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো। পীর-মাশায়ায়েখ, সুফি-সাধক, দরবার ও মাজারপন্থি সারা দেশের মানুষ আমাদের দলের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে। এ ছাড়া দলের অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা, যুবসেনা, মহিলাফ্রন্ট, শ্রমিক ফ্রন্ট ও ছাত্রীকাফেলা মাঠে কাজ করে চলেছে। অরাজনৈতিক সংগঠন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। ৫০টি জেলা কমিটি রয়েছে। অঙ্গসংগঠনগুলোর তৃণমূল পর্যন্ত কমিটি রয়েছে। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহ বিভাগে আমাদের অনেক ভালো সাংগঠনিক অবস্থা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে জানতে চাইলে এম এ মতিন বলেন, কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিলে সুষ্ঠু ভোট তাদের দ্বারা করা সম্ভব। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে ২৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত ওই নির্বাচনকে ঘিরে দেশে অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে আমরা বয়কট করি। ইসলামী দলগুলো এককাতারে আসতে পারছে না কেন জানতে চাইলে এম এ মতিন বলেন, আমরা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের একটি দল। দেশে এখনো অনেক স্বাধীনতাবিরোধী দল রয়েছে। যেজন্য সব দল এককাতারে আসতে পারছে না। এ ছাড়া কিছু ইসলামী দলের মধ্যে ধর্মান্ধ ও গোঁড়ামি রয়েছে। চলমান মাদকবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে এম এ মতিন বলেন, আমাদের প্রশ্ন দেশে মাদকের বিস্তার ঘটল কীভাবে। এ অভিযান অনেক আগেই পরিচালনার দরকার ছিল। মাদকের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল আর প্রশাসনের বিপথগামী কিছু কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। রাঘব-বোয়ালরা এখনো আইনের আওতায় আসেনি। বিশেষ করে সরকারি দলের জড়িতদের গ্রেফতার করে অভিযানের নিরপেক্ষতা প্রমাণ করতে হবে। আর এ অভিযান সারা বছর পরিচালনা করতে হবে। সরকারের সফলতা ও ব্যর্থতা সম্পর্কে জানতে চাইলে এম এ মতিন বলেন, সরকারের অনেক সফলতা আছে। তবে সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি, যানজট, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, ধর্ষণ, প্রশ্নপত্র ফাঁস ও লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিশেষ করে মাদক তা ম্লান করে দিয়েছে।

সর্বশেষ খবর