শনিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রেমে পরিবারে বাধা

আত্মহত্যা ইবির দুই শিক্ষার্থীর

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের দুই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। ওই দুই শিক্ষার্থী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুমতাহেনা আফরোজ হেনা ও রোকনুজ্জামান রোকন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মুমতাহেনা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে এবং রাত সাড়ে ৮টার দিকে রোকন ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এদিকে দুই শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুকে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, মুমতাহেনা আফরোজের সঙ্গে একই বিভাগের ছাত্র রোকনুজ্জামান রোকনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নিজেদের সম্পর্কে টানাপড়েনের কারণে হেনা নামের ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের ঝিনুক টাওয়ারের পঞ্চম তলায় নিজ শয়ন কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। এদিকে প্রেমিকার এমন আত্মহত্যার কথা শুনে রোকনও আত্মহত্যা করেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মতি মিয়া রেলগেট এলাকায় পোড়াদহ থেকে গোয়ালন্দগামী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। তবে তাদের প্রেমের টানাপড়েনে এমনটি হতে পারে বলে সহপাঠীরা জানান। আত্মহত্যাকারী মুমতাহেনা আফরোজ হেনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আশরাফুল আলমের মেয়ে। তার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়। রোকনুজ্জামান রোকনের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলায়। রোকন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের প্রথম স্থানধারী শিক্ষার্থী ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান জানান, আমি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পরে ছাত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি জানতে পারি। পরে রাত ৯টার দিকে রোকনের বিষয়টি জানতে পারি। ওই দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে হঠাৎ করে দুজনই আত্মাহুতির সিদ্ধান্ত কেন নিল সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। ওই দুই শিক্ষার্থীর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা শেখ এমদাদুল হক জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ শহরের ঝিনুক টাওয়ারের পঞ্চম তলা থেকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নেওয়া এক মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি, তদন্ত চলছে। পোড়াদহ জিআরপি থানার ওসি আবদুল আজিজ বলেন, ওই ছাত্রের লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর