সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

মিয়ানমার উপকূলে সেই ভুতুড়ে জাহাজের রহস্যভেদ

প্রতিদিন ডেস্ক

ইয়াঙ্গুনের কাছে মারতাবান উপসাগরে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় ভাসতে থাকা জাহাজটির রহস্যভেদ করার কথা জানিয়েছে মিয়ানমারের নৌবাহিনী।

তারা বলছে, ভাঙার জন্য বাংলাদেশের একটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে নেওয়ার সময় টাগবোট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল জাহাজটি।  বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে মিয়ানমারের জেলেরা উপকূল থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে জাহাজটি ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে নৌবাহিনী ও সরকারি কর্মকর্তারা গত বৃহস্পতিবার ‘স্যাম রাতুলাঙ্গি পিবি ১৬০০’ নামের ওই জাহাজে গিয়ে অনুসন্ধান চালান।

ইন্দোনেশিয়ার পতাকাবাহী বিশাল ওই জাহাজে কোনো নাবিক বা পণ্য না থাকায় তৈরি হয় রহস্য। জাহাজটি কী করে মিয়ানমারের জলসীমায় এল, এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা সেসব বিষয় খতিয়ে দেখার কথা জানানো হয় মিয়ানমার পুলিশের পক্ষ থেকে।

২০০১ সালে নির্মিত ‘স্যাম রাতুলাঙ্গি পিবি ১৬০০’ এর দৈর্ঘ্য ১৭৭ মিটারের বেশি। কনটেইনার পরিবহনের কাজে ব্যবহূত এ জাহাজের সর্বশেষ অবস্থান রেকর্ড করা হয় ২০০৯ সালে, তাইওয়ান উপকূলে। নয় বছর পর ওই জাহাজ কীভাবে ইয়াঙ্গুন উপকূলে আবির্ভূত হলো— সেই প্রশ্নে রহস্য ঘনীভূত হয়। জাহাজটির গলুইয়ের দিকে দুটি ছেঁড়া কেবল পাওয়ার পর  মিয়ানমারের নৌবাহিনী শনিবার জানায়, অন্য কোনো জাহাজ স্যাম রাতুলাঙ্গিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল বলে তারা ধারণা করছে। পরে মিয়ানমার উপকূল থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে একটি টাগবোট খুঁজে পায় নৌবাহিনী।

‘ইনডিপেনডেন্স’ নামে ইন্দোনেশীয় ওই টাগবোটের ১৩ নাবিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা জানতে পারে, গত ১৩ আগস্ট থেকে স্যাম রাতুলাঙ্গিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। তাদের গন্তব্য ছিল বাংলাদেশের একটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড। পরিত্যক্ত ঘোষিত জাহাজটি সেখানে ভাঙার কথা ছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে ঝড়ের কবলে পড়ে কেবল ছিঁড়ে গেলে কন্টেইনার জাহাজটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন ইনডিপেনডেন্সের নাবিকরা স্যাম রাতুলাঙ্গিকে সেখানে ফেলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মিয়ানমারের পত্রিকা ইলেভেন মিয়ানমারের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, টাগ বোটটির মালিক একজন মালয়েশীয়। দুটো জাহাজই এখন মিয়ানমারের নৌবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে বলে জানানো হয়েছে ইলেভেন মিয়ানমারের খবরে।

সর্বশেষ খবর