ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দুটি যাত্রীবাহী বাসের ছয় যাত্রীর কাছ থেকে ১২০টি সোনার বার জব্দ করেছে র্যাব। গ্রেফতার করা হয়েছে ছয়জনকে। র্যাবের দাবি, এই ছয় যাত্রী সোনা চোরাকারবারি। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর পাঁচদোনা এলাকায় এনা পরিবহন ও গ্রিন লাইন পরিবহনের দুটি যাত্রীবাহী বাস থেকে আনুমানিক ৬ কোটি টাকা মূল্যের ১৪ কেজি ওজনের এই ১২০টি সোনার বার উদ্ধার করে র্যাব-৩ এর একটি দল। পরে নরসিংদীর মাধবদী থানায় একটি মামলা করে র্যাব। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে গতকাল র্যাব-৩ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মো. রাহাত হারুন খান বলেন, এনা পরিবহন থেকে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার দত্তপাড়ার মো. জামাল হোসেন (২২), ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ক্যাম্পপাড়ার মো. তানভীর আহম্মেদ এবং শরীয়তপুর জেলার পালং থানার উত্তর বিলাশখানের বাসিন্দা মো. রাজু হোসেনকে (২৩) গ্রেফতার করা হয়। গ্রিন লাইন পরিবহনের বাস থেকে গ্রেফতার করা হয় চট্টগ্রামের কাঞ্চননগরের মো. আবুল হোসেন, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সস্তা বাজারের মো. রাজু আহম্মেদ (৩০) এবং ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া থানার নতুন হাটের জোড়াখালীর মো. আলাউদ্দিনকে। তাদের কাছ থেকে ১৩টি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়। মেজর মো. রাহাত হারুন খান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৩ জানতে পারে, সিলেট থেকে ঢাকায় এনা ও গ্রিন লাইন পরিবহনে করে সোনা চোরাচালান হচ্ছে। এ খবর পেয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর পাঁচদোনায় একটি বিশেষ তল্লাশি চৌকি বসায় র্যাব-৩। এ সময় দুটি বাস থেকে এসব সোনা জব্দ করা হয় এবং ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের প্রত্যেকে প্যান্টের কোমরে বিশেষ পকেট বানিয়ে সোনাগুলো ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের প্রত্যেকের কাছে ২০টি করে ছয়জনের কাছে মোট ১২০টি সোনার বার ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, এসব সোনার বার সিলেট থেকে হাতবদল করে ঢাকায় পৌঁছে দিতে কাজ করছিলেন তারা। যার বিনিময়ে প্রত্যেকের ১৪ হাজার টাকা করে পাওয়ার কথা ছিল। এদের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী। কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক সোনা চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা এসব সোনা নিরাপদে ঢাকায় এনে পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও পাচার করা হয় বলে জানা গেছে। মেজর মো. রাহাত হারুন খান বলেন, তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সোনা চোরাচালানের মূল হোতাদের কয়েকজনের নাম জানতে পারলেও তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করেননি র্যাবের এ কর্মকর্তা।
