বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

তিন আসনেই আওয়ামী লীগের জয় নিশ্চিত, বিএনপিতে হতাশা

গোপালগঞ্জ

আমিনুল হাসান শাহীন, গোপালগঞ্জ

তিন আসনেই আওয়ামী লীগের জয় নিশ্চিত, বিএনপিতে হতাশা

আগামী সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জের তিনটি আসনে জোট-মহাজোটের সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তারা কেন্দ্রে জোর লবিং চালাচ্ছেন। কদর বেড়েছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের।

জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা সভা সমাবেশ ছাড়াও বিল বোর্ড টানিয়ে তাদের প্রার্থিতার জানান দিচ্ছেন। বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড না থাকলেও প্রতিটি আসনেই একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। গোপালগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলা নিয়ে গঠিত তিনটি সংসদীয় আসন বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। এবারও গোপালগঞ্জের তিনটি আসনেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের জয় সুনিশ্চিত বলে মনে করেন এলাকার সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে, বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা। এ ছাড়া দলটির অনেক নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন এবং অনেকে যোগদানের জন্য দেন দরবার করছেন বলে শোনা যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব চক্ষু ইনস্টিটিউট ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পিটিআই, সুইমিংপুল ও জিমনেসিয়াম, মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স, ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গোপালগঞ্জ মত্স্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট, প্রাণিসম্পদ ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটসহ অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ করেছে, যার সুফল গোপালগঞ্জসহ আশপাশের জেলার মানুষ ভোগ করছে।

গোপালগঞ্জ-১ (কাশিয়ানী-মুকসুদপুর) আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য  সাবেক মন্ত্রী আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য  লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, সাবেক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মুকুল বোস, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি উম্মে রাজিয়া কাজল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার উপ-কমিটির সদস্য আরিফ রহমান রুমা, আলী আসিফ খান রাজীব, কে এম মাসুদুর রহমান, কাজী হারুন অর রশীদ মিরন, শেখ আতিয়ার রহমান দিপু প্রমুখ। বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রাপ্তির দৌড়ে রয়েছেন দলের  কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম ও এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর। জাতীয় পার্টি থেকে আবদুল মান্নান শেখ মুন্নু ও দিপা মজুমদার প্রার্থী হতে চাইছেন। ইসলামী আন্দোলনের মিজানুর রহমান, জাসদের (ইনু) আজম শরীফ দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। গোপালগঞ্জ-২ (গোপালগঞ্জ-কাশিয়ানী) আওয়ামী লীগের প্রার্থী হবেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী বর্তমান এমপি শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি ৩৭ বছর ধরে সংসদে এলাকার মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী। জেলা বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ ছাড়া এম এইচ খান মঞ্জু, এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর, এম মুনসুর আলী, মনিরুজ্জামান পিনু বিএনপির মনোনয়ন চাইতে পারেন। জাতীয় পার্টির সাঈদুর রহমান টেপা এবং শেখ আলমগীর হোসেনের দলীয় প্রার্থী হিসাবে নাম শোনা যাচ্ছে। জাসদ (ইনু) গোপালগঞ্জ জেলার সভাপতি শেখ মাসুদুর রহমান নির্বাচন করতে আগ্রহী। গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখানে আওয়ামী লীগের আর কোনো প্রার্থী নেই। অন্যান্য দলেরও এখানে কোনো শক্ত প্রার্থী নেই। বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের মধ্যে জেলা বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম জিলানী ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এস এম আফজাল হোসেনের নাম প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া কোটালীপাড়া উপজেলা জাসদের (ইনু) সভাপতি অরুণ চন্দ্র সাহা প্রার্থী হতে পারেন।

সর্বশেষ খবর