বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সাড়ে তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ এসপি মিজানের

দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ও স্ত্রী নীপা মিজানের বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল রাজধানীর তেজগাঁও মডেল থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। তেজগাঁও থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দুদক জানায়, পুলিশ সুপার পদমর্যাদার রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) কমান্ড্যান্ট মিজানুর রহমানের নামে প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা ও তার স্ত্রী নীপা মিজানের নামে ২ কোটি ৩২ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। মামলার এজাহারে এসপি মিজানের নামে তার নিজ জেলা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ৯৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার বাড়িসহ ১৩.০৮ একর জমি, ঢাকার তেজকুনিপাড়ায় ১৮০০ বর্গফুট ও ১৭১৮ বর্গফুটের দুটি ফ্ল্যাট, ঢাকার জুড়াইনে একটি দোকান, মিরপুরসহ বিভিন্ন মৌজার ৩ দাগে ১৫ শতাংশ জমি, উত্তরায় ৩ কাঠার আরেকটি প্লটের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। তার নামে ব্যাংকে ৯১ লাখ ১২ হাজার ৫৪৭ টাকা ও ৭৫ লাখ টাকার এফডিআর, মোল্লা এনপিকেএস লিমিটেড সার কারখানার নামে ২ লাখ টাকার শেয়ারের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মেঘনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড, মেসার্স খোয়াজ ফার্টিলাইজার, ফার্ম নেস্ট অ্যান্ড মিল্ক প্রডাক্টস লিমিটেড ও একটি মাইক্রোবাসের মালিকানার প্রমাণ পেয়েছে দুদক। অন্যদিকে মিজানের স্ত্রী নীপা মিজানের নামে উল্লেখ করা সম্পদের মধ্যে ঢাকার মিরপুর মাজার রোডে তিন তলা ভবনসহ ৫ কাঠার জমি, ২ কাঠা জমিতে দোকান, ঢাকার কেরানীগঞ্জে ২ তলা বাড়িসহ ১০ শতাংশ জমি ও ৬৬ শতাংশ জমি, তেজকুনিপাড়ায় ১৮০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ৫.৩৮ একর জমি এবং ব্যবসায়িক মূলধন ও নগদ অর্থসহ মোট ৭ কোটি ৮ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। সাভারের হেমায়েতপুরের আলীপুর ব্রিজ সংলগ্ন ৮৪ শতাংশ জমির ওপর বাড়ি তৈরি ও ঢাকার মিরপুরের মাজার  রোডের আলমাস টাওয়ারের পাশে আরও একটি বাড়ি নির্মাণে জোগালি ও শ্রমিক হিসেবে পুলিশের ৬০ জন সদস্যকে রাজমিস্ত্রির সহকারী বা জোগালির কাজ করানোর অভিযোগও উঠেছে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালে বিষয়টি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়ে উপপরিচালক এস এম মফিদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয় দুদক। এর আগে ২০১১ সালে এসপি মিজানের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ অনুসন্ধান করেন দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের তৎকালীন অনুসন্ধান কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম। অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় স্ত্রীর নামে ব্যবসা পরিচালনাসহ নানা অভিযোগে মামলা রুজুর সুপারিশ করলেও মামলা না করে অভিযোগটি নথিভুক্ত হয়ে যায়।

সর্বশেষ খবর