মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মোজাম্মেলের মুক্তি চেয়ে অঝোরে কাঁদলেন স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

কারাগারে থাকা বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর স্ত্রী বিজু আক্তার চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে এসে শুধু কাঁদলেন। স্বামীর মুক্তি চেয়ে দুই চোখে অশ্রু ঝরেছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে মোজাম্মেল হক চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মোজাম্মেল হকের শিশুকন্যা ফাতেমা তুজ জহুরাকে কোলে করে হাজির হন বিজু আক্তার। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি খায়রুল আমিন। মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সদস্য সামসুদ্দীন চৌধুরী, মোজাম্মেল হক চৌধুরীর  ভাই মনিরুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। বিজু আক্তার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, আমার স্বামীকে মুক্তি দেওয়া হয়। সুলতানা কামাল বলেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতি সব যাত্রীর পক্ষ থেকে এটুকুই বলেছে যে রাস্তায় বের হলে যেন তারা নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারেন। এমন একটি সংগঠনের নেতাকে যদি রিমান্ডে নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে, তবে হতবাক হতে হয়।

বিস্ফোরক মামলায় মোজাম্মেলকে রিমান্ডে চায় পুলিশ : এবার কাফরুল থানায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। গতকাল কাফরুল থানা পুলিশ আদালতে আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম মাজাহারুল ইসলাম শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

এ বিষয়ে আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) তাহেরা বানু সাংবাদিকদের জানান, নিয়মানুযায়ী শুনানির দিন আসামি মোজাম্মেল হককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হবে। এ মামলাটি গত ফেব্রুয়ারি মাসে কাফরুল থানায় করা হয়। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ৪ ফেব্রুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, রাজধানীর কাফরুল থানা এলাকার বিআরটিএ অফিসের পেছনের গেটে ফুটপাথের ওপর কতিপয় দুষ্কৃতকারী নাশকতা কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে দেশ ও জনসাধারণের সম্পত্তি জানমাল ক্ষতিসাধন করতে পারে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে বিস্ফোরক দ্রব্য পেট্রলবোমাসহ ৫১-৫২ জন লোক অবস্থান করে শলাপরামর্শ করছিল। পরে তারা রাস্তায় চলাচলরত জনগণ ও গাড়িতে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে হৈহুল্লোড় করছিল। এ সময় একজনকে গ্রেফতার করা হয় ও অন্যরা পালিয়ে যায়। মামলার তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য ও সাক্ষ্য-প্রমাণে এই আসামি মামলার ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত রয়েছে। তাই এ আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এর আগে মোজাম্মেলকে মিরপুর থানার একটি চাঁদাবাজির মামলায় বুধবার রাতে গ্রেফতার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর আগে মঙ্গলবার চাঁদাবাজির এ মামলা করেন মিরপুর রোড শ্রমিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল।

সর্বশেষ খবর