সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

তাবলিগ জামাতের সংকট নিরসনে সরকারের পাঁচ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

তাবলিগ জামাতের অনুসারীদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে  নেতৃত্বের সংকট চলছে। বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আলেমদের সঙ্গে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের আমির হজরত মাওলানা সাদ কান্ধলভির বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে সংকটের সূত্রপাত হয়েছিল। পরে বাংলাদেশের তাবলিগের সাথীদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়। ফলে বাংলাদেশে দাওয়াত ও তাবলিগের কাজকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য গত ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ৫টি নির্দেশনা দিয়ে এক পরিপত্র জারি করা হয়। নির্দেশনাগুলো হলো— ১) বর্তমানে তাবলিগে বিদ্যমান দুটি পক্ষ সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা পরামর্শক্রমে কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গী ইজতেমা ময়দানসহ দেশের সব জেলা ও উপজেলা মারকাজে সপ্তাহের ভিন্ন ভিন্ন দিনে/তারিখে তাদের কার্যক্রম (সাপ্তাহিক বাণী ও রাতযাপন, পরামর্শ ও তালিম, মাসিক জোড় ইত্যাদি) পরিচালনা করবে। তবে কোনো পক্ষ চাইলে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শক্রমে মারকাজ ব্যতীত অন্য কোনো মসজিদে/জায়গাতেও তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। ২) তাবলিগের আদর্শ ও চিরাচরিত রীতিনীতি অনুযায়ী  কোনো পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে কোনোরূপ লিখিত বা  মৌখিক অপপ্রচার চালাবে না। ৩) দেশের সব মসজিদে পূর্বের ন্যায় শান্তিপূর্ণভাবে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সে জন্য যে কোনো মসজিদে উভয় পক্ষের জামাতই যেতে পারবে। এতে কোনো পক্ষই কাউকে বাধা দিতে পারবে না। তবে একই সময়ে দুই পক্ষের দেশি ও বিদেশি জামাত একই মসজিদে অবস্থান করা যুক্তিসঙ্গত হবে না। এক্ষেত্রে যে পক্ষের জামাত আগে আসবে সেই পক্ষের জামাত অবস্থান করবে। অন্যপক্ষের জামাত পার্শ্ববর্তী অন্য কোনো সুবিধাজনক মসজিদে চলে যাবে। ৪) উভয় পক্ষ তাদের ইজতেমা/জোড়ে তাবলিগের  দেশি-বিদেশি মুরব্বিদের আমন্ত্রণ জানাতে পারবে। এতে এক পক্ষ অন্য পক্ষের কার্যক্রমে কোনো ধরনের  প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না। ৫) কোনো এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে কোনো বিরোধ দেখা দিলে স্থানীয় প্রশাসন উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

সর্বশেষ খবর