শুক্রবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ঘূর্ণিঝড় তিতলিতে ভারতে নিহত ৮

আজও দিনভর দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র প্রভাবে আগামীকাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বজ্রপাত ও দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হবে। এর প্রভাবে আজও ঢাকায় থেমে থেমে  কখনো গুঁড়িবৃষ্টি, কখনো ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, আজও গতকালের মতো আকাশ দিনভর মেঘলা থাকবে এবং এ সময় বাতাসের গতিবেগও বেশি থাকবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকার সমুদ্র বেশ উত্তাল থাকবে। সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ভারতে এ ঝড়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব তথ্য জানায়। আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, তিতলির প্রভাবে আজও ঢাকাসহ সারা দেশে গতকালের মতো আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে। এ সময় হুট করে বৃষ্টি ঝরবে আবার থেমে যাবে। তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামীকাল পর্যন্ত আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকবে। আশা করা হচ্ছে ১৪ অক্টোবর  থেকে আবহাওয়া ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাবে। এর আগে গতকাল ভোরবেলা ‘তিতলি’ ভারতের উড়িষ্যা ও অন্ধ্রপ্রদেশে তীব্র বেগে আঘাত হানার পর দুর্বল হতে থাকে। তিতলি দুর্বল হয়ে যাওয়ার পর গতকাল দুপুর থেকে আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে দেশের চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়।

 আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয় ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমে দুর্বল হয়ে স্থলনিম্নচাপ আকারে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তর পূর্বে সরে কলকাতা হয়ে বাংলাদেশের খুলনায় প্রবেশ করতে পারে ও পরে বরিশাল হয়ে চট্টগ্রামে প্রবেশ করে পূর্বে সরে দুর্বল হয়ে যাবে। এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কি.মি. পর্যন্ত ঝড়ো বাতাস বইতে পারে ও অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। জানা যায়, তিতলির প্রভাবে উড়িষ্যার বিভিন্ন এলাকায় গাছ এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে গেছে। এজন্য বিভিন্ন অঞ্চল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অতিবৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এজন্য ঘূর্ণিঝড়কবলিত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা শুরুর নির্দেশ দেন।

সর্বশেষ খবর