শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
নতুন মজুরি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

অনেক কারখানা বন্ধের আশঙ্কা বিজিএমইএর

নিজস্ব প্রতিবেদক

পোশাকশিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত ন্যূনতম ৮ হাজার টাকার নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নকে বিশাল চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে মালিকপক্ষের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। সংগঠনটির দাবি বিগত ৪ বছরে শ্রমিকদের বেতন দিতে না পেরে প্রায় ১২শ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, নিকট ভবিষ্যতে আরও অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

গতকাল রাজধানীর কাওরানবাজারের বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান, মাহমুদ হাসান খান বাবু প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ন্যূনতম মজুরি বিষয়ে তথাকথিত কতিপয় মুষ্টিমেয় মহল থেকে বিভিন্ন রকমের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এতে করে জনমনে গভীর সংশয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগী হয়ে সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পোশাকশিল্পের জন্য মজুরি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কিন্তু কিছু মুষ্টিমেয় শ্রমিক নেতা ও এনজিও এ বিষয়ে প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে এবং নিরীহ শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে শিল্প খাতকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। একটি স্পর্শকাতর শিল্প খাত সম্পর্কে ভুল ও বিকৃত তথ্য পরিবেশনের উদ্দেশ্য কি, এই ঔদ্ধত্য  তারা কোথায় পেল তা আমরা জানতে চাই। তিনি বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর পোশাকের মূল্য কমেছে, খরচ বেড়েছে এবং বর্তমান পোশাকশিল্পের বাস্তবতায় এই মজুরি বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তার পরও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পোশাক শিল্পে ৮ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি মেনে নিয়েছি। যদিও প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় রপ্তানি প্রবৃদ্ধির দিক থেকে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। বিগত ২০১৪-২০১৮ সময়ে বিভিন্ন কারণে টিকতে না পেরে  প্রায় ১ হাজার ২০০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের আশঙ্কা, নিকট ভবিষ্যতে আরও অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন মজুরি বাস্তবায়ন আমাদের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ। এ ক্ষেত্রে ক্রেতা, শ্রমিক, সরকার এবং সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এই শ্রমনিবিড় শিল্পখাতকে নিয়ে এমন কোনো উসকানিমূলক তথ্য পরিবেশন ঠিক হবে না, যা শিল্পকে অশান্ত করে দেয়, দেশে-বিদেশে শিল্প বিষয়ে ভুল বার্তা যায় এবং শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। বিগত ৪ বছর ধরে শিল্পে একটি স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে অনেকেই আছেন, যারা আমাদের এই উন্নতিতে খুশি হতে পারছেন না। এই শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি যে কোনোভাবেই হোক তারা বিঘ্নিত করতে চান।

সর্বশেষ খবর