মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ

লিয়াকত ও আমিনুলের ফাঁসির রায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে হবিগঞ্জের লিয়াকত আলী ও কিশোরগঞ্জের আমিনুল ইসলাম ওরফে রজব আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। গতকাল বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেয়।

হবিগঞ্জের লিয়াকত আলী একাত্তরে ছিলেন স্থানীয় রাজাকার কামান্ডার। আর কিশোরগঞ্জের আমিনুল ইসলাম ছিলেন ওই এলাকার আল-বদর বাহিনীর নেতা। তারা দুজনেই পলাতক রয়েছেন। রায়ে বলা হয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা সাতটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। মৃত্যু পর্যন্ত ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে তাদের সাজা কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলার প্রসিকিউটর ছিলেন রানা দাশগুপ্ত ও  রেজিয়া সুলতানা চমন। পলাতক দুই আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী ছিলেন গাজী এম এইচ তামিম। এ মামলার দুই আসামির বিরুদ্ধে আনা সাত অভিযোগের সবই প্রমাণিত হয়েছে। প্রতিটি অভিযোগেই তাদের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ, হবিগঞ্জের লাখাই থানার কৃষ্ণপুর গ্রামে লুটপাট, অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন ও গণহত্যা। দ্বিতীয় অভিযোগ, হবিগঞ্জের লাখাই থানার চণ্ডিপুর গ্রামে লুটপাট, অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন ও গণহত্যা। তৃতীয় অভিযোগ, হবিগঞ্জের লাখাই থানার গদাইনগর গ্রামে লুটপাট, অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন ও গণহত্যা। চতুর্থ অভিযোগ, হবিগঞ্জের লাখাই থানার কৃষ্ণপুর, চণ্ডিপুর ও গদাইনগর এবং কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানার সদানগর গ্রামের শ্মশানঘাটে গণহত্যা। পঞ্চম অভিযোগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার ফান্দাউক গ্রামে অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন ও হত্যা। ষষ্ঠ অভিযোগ, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানার সাবিয়ানগর গ্রামের চৌধুরী বাড়ির সামনের মাজারে হামলা চালিয়ে অপহরণ, আটকে  রেখে নির্যাতন ও হত্যা। সপ্তম অভিযোগ, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানার সাবিয়ানগর গ্রামের খাঁ বাড়িতে হত্যা, লুটপাট চালানো।

সর্বশেষ খবর