শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

খালেদাকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা প্রশ্নে আদেশ পিছিয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের আদেশ পিছিয়েছে। গতকাল খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের করা এক সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদেশের জন্য আগামী রবিবার দিন ধার্য করেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ। এর আগে ১৩ নভেম্বর এ আবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য দিন ঠিক করেছিল আদালত। খালেদা জিয়া পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠার আগেই তাকে হাসপাতাল থেকে দ্রুত কারাগারে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১১ নভেম্বর হাই কোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী নওশাদ জমির। এ বিষয়ে আইনজীবী কায়সার কামাল জানিয়েছিলেন, বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শেষ না করে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, যা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। এ যুক্তিতে রিটটি করা হয়। খালেদা জিয়াকে কেন পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে না, এই মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে রিটে। স্বরাষ্ট্র সচিব, কারা কর্তৃপক্ষ, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষসহ নয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে রিটে। ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। ওই দিন আদালত থেকেই তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে রাখা হয়েছে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি কক্ষে। এ মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হাই কোর্টে আপিল করলে খালেদা জিয়ার সাজা বেড়ে ১০ বছর কারাদণ্ড হয়। এদিকে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাও খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে নির্দেশনা চেয়ে এর আগে খালেদা জিয়ার করা আরেকটি রিট আবেদন ৪ অক্টোবর নিষ্পত্তি করে কিছু নির্দেশনা ও পর্যবেক্ষণসহ আদেশ দেন হাই কোর্ট। হাই কোর্টের আদেশের পর চিকিৎসার জন্য ৬ অক্টোবর তাকে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয়। এর পর থেকে তিনি  সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রায় এক মাস চিকিৎসার পর ৮ নভেম্বর বিএসএমএমইউ থেকে তাকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর