সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সারা দেশে ৪৭২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি গতকাল সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে পৌঁছে দেন দলটির কেন্দ্রীয় মামলা ও তথ্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন খান। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে উদ্দেশ্য করে লেখা ওই চিঠিতে মির্জা ফখরুল বলেছেন, বিএনপির পক্ষ থেকে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তি দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বিএনপি মহাসচিবের চিঠিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে আপনাদের নিরপেক্ষতা নিয়েও জনগণের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। পল্টনের ঘটনার পর পুলিশ বলেছিল, ফরম তুলতে এসে বিএনপি নেতা-কর্মীরা সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। তারা বিনা উসকানিতে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তবে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলের চিঠিতে উল্টো পুলিশের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ফরম ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চার দিন ধরে নয়াপল্টনের আশপাশে যত লিঙ্ক রোড আছে সেখানে পাহারা বসিয়ে বিএনপি কার্যালয়ের দিকে আগমন ও প্রস্থানরত নেতা-কর্মীদের তল্লাশি করছে। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মনোনয়ন ফরম কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছে। এদিকে তালিকা জমা দেওয়ার পর মো. সালাহ উদ্দিন খান বলেন, তফসিল ঘোষণার পর বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মোট ৮টি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় ৪৭২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে এ সংক্রান্ত তালিকা ইসি চেয়েছিল, তা জমা দেওয়া হলো। তিনি বলেন, গ্রেফতার নেতা-কর্মীদের তালিকার সঙ্গে একটি চিঠিও প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর দেওয়া হয়।
