বুধবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

নারায়ণগঞ্জ সিটিতে চলবে ইলেকট্রিক ট্রেন

মন্ত্রিসভা কমিটিতে নীতিগত অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বের উন্নত দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে চলবে ইলেকট্রিক ট্রেন। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে পিপিপি পদ্ধতিতে যৌথভাবে বাংলাদেশ সরকার ও সিঙ্গাপুর সরকার। এ সংক্রান্ত্র একটি প্রস্তাব লাইট র‌্যাপিড ট্রানজিট স্থাপনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। গতকাল সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, সরকার টু সরকার ভিত্তিতে পিপিপি পদ্ধতিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে লাইট র‌্যাপিড ট্রানজিট (এলআরটি) স্থাপনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ইলেকট্রনিক ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবে জনগণ। এ ট্রেনে প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ২০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পাঠানো প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে এ ট্রেন চলবে দুটি রুটে। একটি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ থেকে চাষাঢ়া হয়ে সাইনবোর্ড পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার পথ। অন্যটি হচ্ছে চট্টগ্রাম রোড থেকে পঞ্চবটি পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার। দুই লাইনের ইন্টারচেঞ্জ স্টেশন হবে চাষাঢ়ায়। তবে এ জন্য কত টাকা ব্যয় হবে সেটা  এখনো নির্ধারিত হয়নি। বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর যৌথভাবে ফিজিবিলিটি স্টাডি করবে এরপর ব্যয়ের বিষয়টি ঠিক করা হবে। তিনি বলেন, বিশ্বের ৩৮৮টি দেশে এ ধরনের ট্রেন রয়েছে। প্রকল্পে অনিয়ম : পুনরায় টেন্ডারের নির্দেশ : দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে তরুণদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার তিনটি প্রকল্প নিয়েছিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। কিন্তু এসব প্রকল্পে অনিয়ম খুঁজে পায় মূল্যায়ন কমিটি। তাই পুনরায় এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে নতুন করে টেন্ডার আহ্বান করতে বলা হয়েছে। অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম জানান, সারা দেশের ৬৪ জেলাকে ১৫টি লটে বিভক্ত করে ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার উদ্দেশে তরুণদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য তিনটি প্রকল্প হাতে নেয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। কিন্তু মূল্যায়ন শেষ হওয়ার পরে প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ এসেছিল।

সংশোধিত দুটি প্রকল্পের ব্যয় বাড়ল : এ ছাড়া দুটি প্রকল্পের সংশোধিত ব্যয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা) বন্যা নিয়ন্ত্রণ সড়ক কাম বেড়িবাঁধ প্রতিরক্ষা এবং নিষ্কাশন (১ম সংশোধিত শীর্ষক প্রকল্পের) চুক্তির অতিরিক্ত কাজ বাস্তবায়নের নিমিত্তে ব্যয় বেড়েছে ৫০৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এর আগে এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ১২৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। আর বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘সাসেক রোড কানেকটিভিটি প্রজেক্ট : ইম্প্রুভমেন্ট অব বেনাপোল অ্যান্ড বুড়িমারী স্থলবন্দর’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ‘ইম্প্রুভমেন্ট অব বেনাপোল স্থলবন্দর’ প্যাকেজের ব্যয় বৃদ্ধিরও একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিটি। এ প্যাকেজ বাস্তবায়নে আগে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এখন ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক।

 

সর্বশেষ খবর