শনিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

উন্নয়ন ও কূটনীতির সমন্বয় জরুরি

—হুমায়ূন কবির

উন্নয়ন ও কূটনীতির সমন্বয় জরুরি

সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবির বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুর সংকট সমাধানে এবং রোহিঙ্গাদের মর্যাদার সঙ্গে দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার যেহেতু কোনো বিকল্প নেই, সে কারণে এ বিষয়ে আরও কি কি করা যায় তা অবশ্যই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে থাকা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ায় বিশেষত প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের যে ক্রমোন্নতি আছে তার সুষম ও সবার জন্য উপাদেয় রাখার ক্ষেত্রে সবার মনোযোগ প্রয়োজন। সহযোগিতা বজায় রাখার পাশাপাশি ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে অনিষ্পন্ন ইস্যুগুলোর সমাধানে বিশেষ দৃষ্টিও প্রয়োজন। বাংলাদেশের ভবিষ্যেক সামনে রেখে পানি ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যে সুযোগ তৈরি হয়েছিল সেগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব কথা বলেন। হুমায়ূন কবির বলেন, আগামী বাংলাদেশের জন্য কোনো ধরনের কূটনৈতিক ফাঁদে না পড়ে আমাদের অবকাঠামোগত বা অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনার ক্ষেত্রে কীভাবে একই সঙ্গে ভারত ও চীনের সহযোগিতা পেতে পারি সেদিকে দৃষ্টি দেওয়াই হবে আগামী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ। এদের সবার কাছ থেকে যেভাবে বাংলাদেশের স্বার্থের বিষয়ে সহযোগিতা পাওয়া যাবে সেটাই রাখতে হবে মূল ফোকাসে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক দিকগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের মনোযোগ প্রয়োজন আছে।

তিনি বলেন, জনশক্তি রফতানি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা কীভাবে গুণগত ও সংখ্যাগত রফতানির বিষয়টি বৃদ্ধি করতে পারি সেই নীতি-নির্ধারণ জরুরি। জনশক্তি রফতানিতে আরও কী ভূমিকা রাখলে নতুন বাজার তৈরি করা যায় তা ভেবে দেখা দরকার।

 সেই সঙ্গে আরও দক্ষ ও যোগ্য জনশক্তি রফতানির বিষয়ে কি ধরনের উদ্যোগ নেওয়া যায় তা ভেবে দেখা দরকার। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বৈশ্বিক সহযোগিতাকে কীভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্যবহারের কূটনৈতিক সম্পর্ককে ব্যবহার করা যায় তাও নির্ধারণ করা প্রয়োজন। সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, উন্নয়ন ও কূটনীতি এই দুই বিষয়ের মধ্যে এখনো আমরা যথেষ্ট সমন্বয় করতে পারিনি। একদিকে যেমন আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রয়োজন তেমনি এই উন্নয়নকে চালু রাখতে সবল ও সৃজনশীল কূটনীতি চালু রাখা প্রয়োজন। এজন্য আমাদের কূটনৈতিক কাঠামো আরও বেশি সক্ষম করা প্রয়োজন, যেন বর্তমান দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে আমরা নিজেদের স্বার্থকে সংরক্ষণ করতে পারি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নিজেদের পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করতে পারি। তাই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কেন্দ্রিক কূটনৈতিক কাঠামোর সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে যেটুকু বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন তা নিশ্চিত করতে হবে।

সর্বশেষ খবর