মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

হলি আর্টিজানে হামলা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

আদালত প্রতিবেদক

২০১৬ সালে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা-মামলার সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয়েছে। গতকাল আদালতে সাক্ষ্য দেন রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস। পরে তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মুজিবুর রহমান। এসআই রিপন কুমার দাস মামলার বাদী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এজাহারের সমর্থনে বিচারকের কাছে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষ ১১১ জন সাক্ষীর নামোল্লেখ করেছে। আজও সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে। এর আগে গত ২৬ নভেম্বর হলি আর্টিজানে হামলা মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। আসামিরা হলেন— রাজীব গান্ধী, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাতকাটা সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন। এদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন পলাতক। অন্য ছয়জন আসামিকে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়। গত ২৩ জুলাই আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। হলি আর্টিজানে হামলা চালানোর সঙ্গে ২১ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়ার কথা বলা হয়, যাদের মধ্যে পাঁচজন ওই দিন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে প্রাণ যায় আটজনের। জঙ্গিরা ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজানে হামলা চালায়। রেস্তোরাঁয় আসা দেশি-বিদেশি গ্রাহকদের তারা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। ওই রাতে উদ্ধার অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হয়। পরে পুলিশ ১৮ বিদেশিসহ ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একজন রেস্তোরাঁ কর্মী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর