শিরোনাম
বুধবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
আধিপত্যের সংঘর্ষে দুজন নিহত

পাবনায় লাশ নিয়ে বিক্ষোভ

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনার ভাড়ারায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে নিহত দুজনের মৃতদেহ নিয়ে শহরে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। বিক্ষোভকারীরা হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। এদিকে গতকাল দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নিহত লস্কর খান ও আবদুল মালেকের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। মরদেহ দাফন শেষে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা। নিহত দুজনের মরদেহ নিতে ভাড়ারা এলাকা থেকে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ গতকাল পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভিড় করে। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে নিহত লস্কর খানের ছেলে সুলতান আহমেদের কাছে মরদেহ দুটি হস্তান্তর করে। মরদেহ নিয়ে কড়া পুলিশি প্রহরায় গ্রামে ফেরার পথে তারা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভকারীরা হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দাবি করে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাড়ারা ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ খানের গ্রেফতার ও ফাঁসি দাবি করে তারা বলেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা না হলে পুরো পাবনা শহর অবরোধ করে অচল করে দেওয়া হবে। নিহত লস্কর খানের ছেলে সুলতান খান বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে আবু সাইদ খানের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। এরই জেরে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সোমবার আবু সাইদ খান সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে আমার বাবাকে হত্যা করেন। আমি আবু সাইদ খানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে সাঈদ চেয়ারম্যান এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। দলের নাম ভাঙিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তিনি বা তার লোকজন করেন না। ভাড়ারা ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খান বলেন, সোমবারের ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। শত্রুতাবশত সুলতান এ ঘটনার সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। পাবনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন বলেন, সুলতান আহমেদ দুই বছর আগে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। তবে এ ঘটনা রাজনৈতিক নয়। আমরাও এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করি। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) জালাল উদ্দিন বলেন, সোমবার সন্ধ্যার সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় ভাড়ারা ইউনিয়নের আওরঙ্গবাদ খয়েরবাগান এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে আওরঙ্গবাদ খয়েরবাগান গ্রামের মৃত জাহেদ আলী শেখের ছেলে আবদুল মালেক ও মৃত গহের আলী খানের ছেলে লস্কর আলী খান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর