শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ভোটের হাওয়া সারাদেশে

মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের আদেশ আপিলে বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশনে থাকা ঢাকা-৯ আসনে বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে হাই কোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গতকাল হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা নির্বাচন কমিশনের আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে, মির্জা আব্বাসের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান।

পরে এহসানুর রহমান জানান, গত ৪ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে থাকা ঢাকা-৯ আসনে বিএনপি প্রার্থী মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। পাশাপাশি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করতে বলে আদালত। তিনি বলেন, এর আগে গত ২৮ নভেম্বর নির্ধারিত সময়ের পর মির্জা আব্বাসের সমর্থকরা তার পক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৯ আসনে তার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে তা নিতে অস্বীকার করেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা। আব্বাসের সমর্থকদের অভিযোগ, মির্জা আব্বাসের ছবি দেখেই শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমা নিতে গড়িমসি করেন রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের নির্বাচনী কর্মকর্তারা। তবে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দাবি, সময় শেষ হওয়ার পর মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসায় তা জমা নেওয়া সম্ভব হয়নি। দুর্নীতি মামলা চলতে বাধা নেই : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলা বাতিলের আবেদনের শুনানি দুই সপ্তাহের জন্য মুলতবি রেখেছে আপিল বিভাগ। এর ফলে এ সময়ের মধ্যে বিচারিক আদালতে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলাটি চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। মামলাটি বাতিল চেয়ে হাই কোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ মুলতবির আদেশ দেয়। আদালতে মির্জা আব্বাসের আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন প্রমুখ। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। এর আগে গত ১১ নভেম্বর মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। পরে হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন মির্জা আব্বাস। ৫ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ২৩৪ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৫৮১ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক শফিউল আলম রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

সর্বশেষ খবর